ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক চাচাতো ভাই তার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া চাচাতো বোনকে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম ফারিহা খানম (১২)। সে স্থানীয় নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ইচাডাঙ্গা গ্রামের মোক্তার হোসেনের পাঁচ মেয়ের মধ্যে চতুর্থ।
জানা যায়, রবিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ফারিহার চাচাতো ভাই মানোয়ার সিকদারের ছেলে রাসেল সিকদার (১৮) তার চাচতো চাচা মোক্তার হোসেনের মুদি দোকান থেকে দেড়শ টাকার দ্রব্য বাকিতে ক্রয় করে। সন্ধ্যায় রাসেল বাড়ি গিয়ে ফারিহাকে ডেকে ওই বাকি টাকা নিয়ে যেতে বলে। ফারিহা সরল মনে টাকা আনতে গেলে চাচতো ভাই রাসেল তাকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাসেলদের বাথরুম থেকে ফারিহাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রতিবেশীরা জানান, রাসেল উচ্ছৃংখল প্রকৃতির। এর আগে সে একবার পরিবারের অমতে বিয়ে করলে সে বিয়ে টেকেনি। একমাত্র ছেলে উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় রাসেলের বাবা-মা রাসেলের সাথে থাকেন না। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। তার বাবা-মাও ঢাকায় থাকেন। তবে বাবা-মায়ের সাথে তার সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুনঃ বিলুপ্তির পথে নওগাঁর মৃৎশিল্প
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালি সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় অভিযান চলছে। নিহতের পরিবার এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।