মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর গ্রামে জমি নিয়ে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ২ জুলাই দ্বারিয়াপুর হাসপাতালে যেয়ে দেখা ও শুনা যায়, জমি দন্দ্বের জেরে বৃদ্ধা কাশেম মন্ডলকে(৭৫) কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
জখমী কাশেম মন্ডলের জানান, গত ৩০/৬/২২ তারিখে আইয়ুব মন্ডল, মিজানুর মন্ডল, আয়জাল মন্ডল, উজ্জ্বল, স্বপন, সোহেল মন্ডল, মর্জিনা বেগম, রাবেয়া বেগম আমার নামীয় সম্পাত্তি জোরপুর্বক দখল করিবার জন্য বিকাল ৪ টার দিকে বাচ্চু মন্ডলের চায়ের দোকান থেকে গালিগালাজ করিতে করিতে আইয়ুব মন্ডল হুকুম দেয় শালারে মেরে ফেল।
এ সময় দূর্বৃত্তরা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। মিজানুর মন্ডল (খুনি মিনার) দা দিয়ে খুন করিবার উদ্দেশ্য এলোপাতাথাড়ী কোপাতে থাকে । কাশেম মন্ডল জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে এরপরে আর কি হয় সে জানে না। তবে এঘটনায় স্থানীয় আলিম শেখ ও দুলাল মন্ডল আহত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে উপজেলার ছাচিলাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
কাশেম মন্ডল এই প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে শ্রীপুর থানার দারোগা আজম সাহেব কে পাঠায়। আজম দারোগা আমার জখমের ছবি তুলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার আমার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে ওসি সাহেব মামলা শুক্রবারের দিন নিবে। শুক্রবার দিন থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব বলেন, মামলা না নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে মিমাংসার কথা জানান। মিমাংসার এ বিষয়ে কাশেম মন্ডল বলেন, আমি মিমাংসা চাই না, আমি এই নেক্কারজনক হামলার সঠিক বিচার চাই আইনের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে আইয়ুব আলী মন্ডলের ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি এবং কিছু সময় পরে ফোন বন্ধ করে দেয়। আইয়ুব আলী মন্ডলের ছেলে আয়জাল মন্ডল মোবাইল ফোনে বলেন, ৬ শতক জমি নিয়ে আমার আব্বা আইয়ুব আলী ও কাশেম মন্ডলের সাথে মারামারি হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না, বিস্তারিত মারামারির ঘটনা নিয়ে আমি কিছু ভালো করে জানি না।