চলতি বর্ষা মৌসুমে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার লোহারটেক কোলে অবৈধ ভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাকেরেরশুরা মৌলভীরচর বাজার বড় ব্রীজের সন্নিকটে লোহারটেক কোলে সরজমিনে গিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়।
এ সময় ছবি তুলতে দেখে পালিয়ে যায় বাঁধের মালিক।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ঐ ইউনিয়নের দবিরউদ্দিন প্রামানিকের ডাঙ্গীর বাসিন্দা ছাত্তার মোল্লা(৬৫) ও নুরুল ইসলাম মন্ডল(৪০)নামের দুই ব্যাক্তি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে চলেছে।কোলের মাঝে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে আশেপাশের বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে দেশিয় প্রজাতির মাছ অবাধ বিচরন ও বংশ বিস্তার করতে পারছে না।
এছাড়া একই দিন উপজেলার বিভিন্ন কোলে চায়না দোয়রী দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায় স্থানীয়দের।বাঁধ অপশারনে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী আফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন ‘বর্ষা মৌসুম শুরু আগে লোহারটেক কোল হতে কয়েকটি আড়াআড়ি বাঁধ ও ভ্যাসাল উচ্ছেদ করা হয়েছে।নদী বা কোলে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া সম্পূর্ন অবৈধ।বর্ষা মৌসুমে নতুন করে বাঁধ দিয়ে থাকলে শীঘ্রই তা উচ্ছেদের পাশাপাশি এ কাজে জরিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে’।
আরও পড়ুনঃ নগরকান্দায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ
এ ব্যাপরে উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন ‘মত্স্য সম্পদ রক্ষায় এ বছর বিভিন্ন সময়ে নদী ও কোলে অভিযান পরিচালনা করে আড়াআড়ি বাঁধ,কারেন্ট জাল,কোনা জাল,বেরজাল ও চয়না দুয়ারী জব্দ ও ধ্বংশ করা হয়েছে।এখন বর্ষা মৌসুম দেশিয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের সময়।নতুন করে যদি কেউ আড়াআড়ি বাঁধ ও চায়না দোয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করলে দ্রæত সময়ের মধ্যে তা অপশারন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫