নওগাঁর আত্রাই উপজেলার স্টেশনের নাম সাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন। এক সময় এই স্টেশনে লোকাল ও মেইল ট্রেন মিলে ৩-৪টি ট্রেন নিয়মিত স্টেশনে থামতো। বিক্রি হতো টিকেট। ট্রেনের যাত্রীদের কোলাহল কলোতানে মুখরিত হয়ে থাকতো স্টেশন। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর বিল, গুটিয়া বিল, গোয়ালবাড়ীদহ্ ও চাঁন্দের বিল সহ বিভিন্ন বিলের মাছ এই স্টেশন থেকে ট্রেন যোগে চলে যেত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
পোটার আব্দুল জব্বার জানান, সাহাগোলা স্টেশনে আর ট্রেন থামেনা। বেসরকারীভাবে একটি রকেট মেইল ট্রেন থামে, এই ট্রেনটি খুলনা টু চিলাহাটি ২৪আপ-২৩ডাউন। আর একটি ট্রেন সরকারীভাবে চলে সেটি হল উত্তরা। এই উত্তরা ট্রেনটি সাহাগোলা স্টেশনে থামে। উত্তরা ট্রেনটি রাজশাহী টু পার্বতীপুর ৩৪আপ-৩২ডাউন। এই দুটি ট্রেন থামলেও জনবল না থাকার কারণে স্টেশনে কোন টিকেট বিক্রি হয়না।
আরও পড়ুনঃ নগরকান্দায় কিশোরীর হাত-মুখ বেধে গণ-ধর্ষনের অভিযোগ
২০০৮ সাল থেকে সাহাগোলা স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। ওয়েম্যান আজম বলেন, লাইন দেখাশোনা করার জন্য আমরা ১০জন ওয়েম্যান নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। একটি স্টেশন চালু রাখার জন্য ৩জন মাস্টার, ৩জন পোটার ও ৩জন পয়েন্টম্যানের প্রয়োজন হয়। জনবল না থাকার জন্য স্টেন মাস্টারের অফিসটি বন্ধ (ভেঙ্গে গেছে)। রেলওয়ে ভবনটি এখন ধ্বংস প্রায়। পরিত্যাক্ত ভবনটি এখন তালা বন্ধ। স্টেশনের পাশে কোয়ার্টার গুলো এখন পরিত্যাক্ত। রেলওয়ের জায়গাগুলো চলে গেছে নানা জনের দখলে।
আশেপাশের জলাশয়গুলো ইজারা নিয়েমাছ চাষ করছেন অনেকে। স্টেনের ওপরে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা নাকি লিজ নিয়েছেন জায়গা গুলো আবার অনেকের লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
সরজমিনে স্টেশনে গিয়ে একজন পোটার ও একজন ওয়েম্যানকে দেখা গেছে। এলাকাবাসী মাজেদুর রহমান (নান্নু)বলেন, সাহাগোলা স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী খুব বিরম্বনার সম্মূখীন হয়েছেন। একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলাকার অনেকেই রেলওয়ের জমি জবর দখল করে রেখেছেন। সেটি দেখার কেউ নাই। সাহাগোলা এখন নামেই স্টেশন, সব কিছু ধংশের পথে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha