ইসমাইল হােসেন বাবুঃ
৬৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে অনিয়মের সত্যতা পেল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১২ মে) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ অফিসে দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
.
এদিকে প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক। এ অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কুষ্টিয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল।
.
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহম্মেদ খান বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে দুদকের অভিযান চলছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে দেখব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
.
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বলেন, সাড়ে ছয়শত কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিডিউল মোতাবেক সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সেই প্রেক্ষিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। নির্মাণে কাজে ঠিকমতো বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ। রাস্তার বেশ কয়েক জায়গায় ধসে গেছে। আমরা পরীক্ষা করার জন্য নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমরা কমিশন বরাবর একটি রিপোর্ট দাখিল করবো। এই বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, ২০২২ সেপ্টেম্বর মাস থেকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ সময় একদফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। সর্বমোট ৬৪৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জহুরুল লিমিটেড কাজ বুঝিয়ে দেয়নি। তারা কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার আগে অভিযোগগুলো তদন্ত করে কাজ বুঝে নেওয়া হবে। এ সময় অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।