ইসমাইল হােসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নবনির্মিত অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবনে বিদ্যুতের তার চুরি হয়েছে এবং উপজেলা শিল্পকলা ভবনে চুরি হয়েছে পানি সরবরাহের বৈদ্যুতিক মোটর পাম্প। ফলে অন্ধকারে রয়েছে অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবন ও পানি শুন্য রয়েছে উপজেলা শিল্পকলা ভবন।
.
৫ মার্চ সােমবার সকাল সাড়ে ৮ার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস ভবনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তার চুরি হওয়ায় পুরো ভবনটি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এরফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে অডিটোরিয়ামের সব কার্যক্রম। পাশাপাশি উপজেলা শিল্পকলা ভবেন বৈদ্যুতিক পানির পাম্পটি চুরি হওয়ায় শিল্পকলার শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
.
এছাড়াও গত ৮ মাসের মধ্যে উপজেলা স্কাউট ভবনের আসবাব পত্র চুরি, পাটবীজ অফিসের মেইন গেটের লোহার দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে ভূক্তভোগী ও সুবিধাভোগীরা জানিয়েছেন।
.
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আইনের ধারায় বিদ্যুতের তার চুরি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একের পর এক চুরির ঘটনায় প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চোরচক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সচেতন মহল মনে করেন।
.
উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে বিদ্যুতের তার চুরির বিষয়ে দৌলতপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে মিটার পর্যন্ত আমাদের দায়ভার। বাঁকীটা স্ব স্ব দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিষয়। তাই এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই আর বিষয়টা আমি অবগতও নই।
.
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, আমরা যতটুকু খোঁজ পেয়েছি মাদকাসক্ত কিছু লোক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে, এখানে নিয়মিত পুলিশ, আনসার টহল দেয়, দুই পাঁচ মিনিট এদিক ওদিক হলেই তারা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা থানা পুলিশকে অবগত করেছি, একটি মামলা রজু করারও প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় আমরা বেশ কিছু অভিযানও পরিচালনা করেছি।
.
অডিটোরিয়াম ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা ও চুরির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা জরুরী বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।