কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মৃত্যু ও সংক্রমণের প্রতিযোগিতা চলছে। করোনায় গত ২দিনে ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ভেড়ামারায় মোট ৩৮জন করোনায় মারা যায়।
ভেড়ামারা পৌরসভার কলেজপাড়া নিবাসী মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসাহক আলী বিশ্বাস এর স্ত্রী ও ভেড়ামারা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাইমুল হক'র মা নূরজাহান বেগম জোসনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪জুলাই শনিবার সকাল ১১টার সময় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
২৪জুলাই শনিবার সকাল ১২টার সময় ভেড়ামারা পৌর এলাকা নওদাপাড়া গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমান (মাস্টার) স্ত্রী ও প্রকৌশলী আবদুল মতিন এর মা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ভেড়ামারার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হাজী হামিজউদ্দিন আহমেদ মৃধার ৪র্থ পুত্র ভেড়ামারা মধ্যবাজারের মিথুন নীড়ের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীক আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ (৭২) ২৩জুলাই শুক্রবার দুপুর ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাদীন অবস্থায় মারা য়ায়।
২৩জুলাই শুক্রবার সকাল ১১টার সময় হিমু (৪০) ভেড়ামারা পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের পরিচিত মুখ, করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মারা যায়।
রীতি রানী (৪৮) পল্লী বিদুৎ সমিতির ভেড়ামারা জোনাল অফিসের বিলিং সহকারী, করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মারা যায়। এই নিয়ে ভেড়ামারায় মোট ৩৮জন করোনায় মারা যায়।
ভেড়ামারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে কেউ না কেউ সর্দি, জ্বর-কাশি ও গলায় ব্যথায় আক্রান্ত। এদের বেশির ভাগই নমুনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী নয়। তাছাড়া সব এলাকায় পরীক্ষা করানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই। তাই ঘরে বসেই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন তারা। যাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারা হয়তো কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না। সর্দি-কাশি-জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাচ্ছেন বাড়িতেই। কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে যাওয়ায় বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।