মো: হানিফ উদ্দিন সাকিবঃ
নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরকে বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফায়জুল কবির খান সন্ধীপের সাথে যুক্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ‘হাতিয়া সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন’। এ সময় বক্তারা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও জানান।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ ও দ্বীপ সরকারি কলেজের সামনে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩০টি সামাজিক সংগঠনের সদস্য প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
হাতিয়া সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আনম নঈম শামীম খান। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মহিব্বুর রহমান, আয়াত হোসেন জুয়েল, ডাঃ মো. জোবায়ের, মো. ফজলে এলাহি হৃদয়, জুনায়েদ, ওমর ফারুক হিমেল, এম.এ রব, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভাসানচর একটি মীমাংসিত বিষয়। এটিকে সন্দ্বীপের সাথে যুক্ত করার অপচেষ্টা করে আঞ্চলিক দাঙ্গা সৃষ্টির উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন সন্দ্বীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফায়জুল কবির খান। তারা বলেন, ভাসানচরের উপর অবৈধ দখলের ষড়যন্ত্র এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার কারণে উপদেষ্টার পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি।
তারা আরও জানান, ১৯৫৪ সালে নোয়াখালী জেলা থেকে সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত হলেও সাগরে জেগে ওঠা নতুন চরগুলো নোয়াখালীর আওতায় রেখে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ভাসানচর দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে ৬টি মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ২০০২-২০০৩ সালে হাতিয়া উপজেলাধীন বনবিভাগ সেখানে বনায়ন সৃষ্টি করে। বর্তমানে ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পসহ রাষ্ট্রীয় সকল কার্যক্রম হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারি গেজেট থাকা সত্ত্বেও ভাসানচরকে সন্দ্বীপের সাথে যুক্ত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে হাতিয়াবাসী সংক্ষুব্ধ ও সোচ্চার। ইতোমধ্যে ঢাকায় ‘হাতিয়া দ্বীপ সমিতি’ ভাসানচর রক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।