মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভঃ
ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারি। নিয়েছেন দলীয় সুযোগ-সুবিধা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় করতেন ত্রাসের রাজত্ব। পটপরিবর্তনের পর নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তিনি এখন জিয়া মঞ্চের সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নে। এতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি জিয়া মঞ্চের হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন শাখার ২০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মী জানান, জামসেদুল ইসলাম টুটুল স্বেচ্ছাসেবকলীগের সেক্রেটারি হয়ে এলাকায় অসহায় নিরীহ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতো। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে সকল সভা-সেমিনারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতো। বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দমন-নিপীড়নে সহযোগিতা করতো।
তারা বলেন, “সে আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আর আমরা একাধিক হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে বিএনপি'র লোক দাবি করে এবং কিভাবে জিয়া মঞ্চের মত সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয়।”
এ বিষয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, “আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ হরণী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা সহ অনেক নির্যাতন করেছিলো। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর কাছে যেতে এবং নৌকার পক্ষে ভোট করতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিলো।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো: মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।