রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে কৃষক আনোয়ার হোসেনের (৩০) ওপর আক্রমণকারী প্রাণীটি আসলে মেছো বাঘ নয়, এটি একটি মেছো বিড়াল। আক্রমণের সময় ওই কৃষক নিজেই মেছো বিড়ালটিকে ধরেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার দুয়াড়িয়া ইউনিয়নের চাতরার বিলে মেছো বিড়ালটিকে মেছো বাঘ ভেবে বন্দি করা হয়। প্রাণীটিকে বুধবার সকালে উদ্ধার করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা বনবিভাগ।
.
জানা যায়, উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের চাতরার বিলে একটি পুকুরে ইঞ্জিন চালিত মেশিনের সাহায্যে পানি দিচ্ছিলেন দুয়ারিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আনোয়ার। পুকুরে পানি দেওয়া শেষে ইঞ্জিন চালিত মেশিনের বন্ধ ঘরটির দরজা খুলতেই মেছো বিড়ালটি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় সে মাটিতে শুয়ে পড়লে বিড়ালটি তার বাম হাতে কামড় দেয়। তৎক্ষনাৎ সে ডান হাতে থাকা সাবল (মাটি খোঁড়ার যন্ত্র) দিয়ে বিড়ালটি চেপে ধরে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে বস্তায় বন্দি করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
.
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে প্রাণীটিকে নিরাপদে সংরক্ষণ করে রাখতে বলেছেন বলে সময়ের প্রত্যাশাকে জানান কৃষক আনোয়ার।
.
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ সময়ের প্রত্যাশাকে জানান, উপজেলার বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দলটি রাজশাহীতে অবস্থান করায় আজকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, আটককৃত প্রাণীটি আসলে একটি মেছো বিড়াল। এই প্রজাতির মেছো বিড়াল কাউকে আক্রমণ করে না। এরা ধানের জমিতে থাকা ইঁদুর, কাঁকড়া ও পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। তবে বিড়ালটি দীর্ঘক্ষণ ঘরে বন্দি থাকায় ভয় পেয়ে ওই ব্যক্তির উপর লাফিয়ে পরতে পারি বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি উপকারী এ ধরনের মেছো বিড়ালকে আটক কিংবা হত্যা করতে নিষেধ করে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।