মোঃ আলম মৃধা:
নরসিংদীতে অপরাধীদের দমন, সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে দক্ষ পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান। নরসিংদীতে দায়িত্ব পালন করা যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার জন্য চ্যালেঞ্জিং, কারণ এখানে প্রতিনিয়তই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। তবে ৩০ আগস্টে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে নরসিংদী জেলার পরিস্থিতি।
.
৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নরসিংদীতে যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল, পুলিশের মনোবল ছিল তলানিতে-তখন এসপি হান্নান দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি পুলিশের মনোবল ও জনগণের মধ্যে আস্তা ফিরিয়ে আনেন। অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং নরসিংদীকে সন্ত্রাস ও মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করছেন।
.
তার নেতৃত্বে নরসিংদীতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। অপরাধ দমনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তিনি কখনো কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেননি। বরং ঘুষখোরদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ।
.
"তার এই সততা ও দায়িত্বশীলতার কারণে তিনি এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন নরসিংদী জেলার দুর্নীতিবাজ, অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, অপরাধীদের কাছে" কোন প্রকার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মহলে। আরো গুঞ্জন উঠে নরসিংদীতে আগে এমন দক্ষ পুলিশ সুপার কখনো আসেনি।
.
এমন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে নরসিংদীতে। গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ার সাবেক ওসি এস এম কামরুজ্জামানের ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির প্রমাণ পেলে, তাকে ডিবির ওসি থেকে প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ সুপার। একজন সৎ নিষ্ঠাবান পুলিশ সুপারের দ্বারাই সেটা সম্ভব। শুধু তাই নয় ডিবির ওসি আওয়ামী লীগের লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দিতেন এমনটাই গুঞ্জনও উঠে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু সেই বিতর্কিত আওয়ামী দোসর কামরুজ্জামান কে অপসারণের পর থেকেই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়াতে একের পর এক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু জনগণের আস্থা এসপি হান্নানের প্রতি অটুট রয়েছে।
.
জানা যায়, তাৎক্ষণিক দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। তখনই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করেন পুলিশ সুপার। এই প্রতিবেদন এবং মাদক বিক্রি অপরাধ তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হওয়ার পর সাবেক ডিবির ওসি কামরুজ্জামান গং নরসিংদীর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে।
.
আরো জানা যায়, পুলিশ সুপার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এগুলো সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন আমার পার্সোনাল ও পারিবারিক লাইফ নিয়ে দুর্নীতিবাজ কামরুজ্জামান মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছে যেই তিনটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণের কথা প্রকাশ করা হয়েছে এগুলো আমি বিভিন্ন অনুদান দিয়েছি। আমার টাকা সে প্রেরণ করেছে কারণ আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাই এগুলো বিভিন্ন জায়গায় অনুদান হিসেবে আমার টাকা সে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছে।
.
তিনি আরো বলেন, ৫০ লাখ টাকার যেই ঘটনা এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক। এটা কোন ঘুষ লেনদেনের টাকা না আমার আত্মীয়-স্বজনের ব্যবসায়িক টাকা। এই টাকার সম্পূর্ণ কাগজপত্র আমার কাছে আছে, প্রকাশিত সংবাদগুলো মিথ্যা বানোয়াট ও প্রমাণ বিহীন আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
.
বর্তমানে নরসিংদীর মানুষ নির্ভয়ে পুলিশের সাহায্য নিতে পারে। আগে যেখানে পুলিশ সুপারের অফিস ছিল সাধারণ মানুষের কাছে দূরুহ, সেখানে এখন যেকোনো নাগরিক নির্দ্বিধায় তার সঙ্গে দেখা করতে পারে, কথা বলতেও পারে এমনটাই জানা যায়।
.
এসপি আব্দুল হান্নানের মতো সৎ ও কর্মঠ পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক অনন্য উদাহরণ। তার নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে নরসিংদী আরও নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হবে, এমনটাই মনে করেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।