হাসিবুল ইসলাম সাদঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার মাধনগরের ভট্টপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন নলডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। এসময় ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে,গতকাল বুধবার উপজেলার মাধনগর ভট্টপাড়ার পূর্বপাড়ায় ৩টি ঘোড়ার মধ্যে একটি ঘোড়া জবাই করে বিক্রি করে একই এলাকার ইউসুফের ছেলে ফরমাজুল। এদিকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিয়ে উপজেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মাধনগরের স্থানীয় এলাকাবাসী,আল আমিন,শহিদুলসহ অনেকেই জানান,বুধবার বিকাল থেকে সন্ধার চলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি। অনেকেই এই ঘোড়ার মাংস ক্রয় করেছে। অনেকে মনে করছেন,ঘোড়ার মাংস খাওয়া অরুচিকর বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ঘোরার মাংস বিক্রেতা ফরমাজুল বলেন,এই মাংস খেতেও গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু। অনেকে এই মাংস নিয়েছে। তেমন চর্বি নাই। ৩০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.পবিত্র কুমার গণমাধ্যমকে জানান, ঘোড়া জবাইয়ের বিষয়টি শুধু শুনেছি। কিন্তু তিনি ঘোড়া জবাইয়ের কোনো সার্টিফিকেট আমাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা রেদওয়ানুল হালিম দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা'কে জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। ঘোড়ার মাংস বিক্রেতা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্টিফিকেট নেননি। নিয়মানুযায়ী পশু জবাইয়ের আগে পশু সুস্থ কি না, এর জন্য ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিতে হয়। কিন্তু তিনি ঘোড়া জবাইয়ের কোনো সার্টিফিকেট নেননি। বিক্রেতাকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে এবং বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫