মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ
হিন্দুশাস্ত্রে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এক অতিপরিচিত ধর্মীয় মিলনস্থল। আঞ্চলিক গবেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রণদেব মুখার্জি জানান, 'মনসামঙ্গল কাব্যে বর্ণিত উজানীনগরকে যেমন পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি সতিপীঠ খ্যাত দুটি জাগ্রত মন্দির রয়েছে এখানে"।
শুক্রবার এবং শনিবার দুদিন ব্যাপী মঙ্গলচণ্ডী পুজো চলে মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপকূলে থাকা পুরাতনহাটে। এই মেলায় পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এর পাশাপাশি কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম, কাটোয়া, ভাতাড় ও মন্তেশ্বর এলাকার মানুষজন যেমন ভীড় জমান, ঠিক তেমনি অজয়ের ওপারে থাকা বীরভূমের নানুর এলাকার মানুষজন আসেন এখানে পুজো দিতে।
চল্লিশ হাজারের বেশি ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভীড়ে অনেকেই তৃষ্ণার জন্য এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে থাকে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ জলছত্রের মাধ্যমে হাজার হাজার তৃষ্ণার্ত মানুষকে শরবত, ঠান্ডাজল খাইয়ে একটু স্বস্তি এনে দেয়।
স্থানীয় জনপ্রিয় বিধায়ক শ্রী অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট থানার আইসি শ্রী মধুসূদন ঘোষ, উপ- প্রধান রহিম মল্লিক প্রমুখ ছিলেন ৩০০ বছরের প্রাচীন মঙ্গলচণ্ডীর পুজো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111