আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের(ইউপি) বনকেশর চকপাড়া গ্রামে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে ফসলি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বনকেশর চকপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান ও জিয়াউর রহমানের ভোগদখলীয় ৫০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতক জবরদখল করেছে একই গ্রামের আওয়ামী মতাদর্শী জামিরুল ইসলাম। এখন বাকি ৩০ শতক জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনা ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর-১৬১, মৌজা বনকেশর,আরএস খতিয়ান নম্বর ৩৬,আরএস দাগ নম্বর ১৬৭৫, শ্রেণী ধানী, পরিমাণ ৪ একর ১৬ কাত ৫০ শতক। বিগত ২০১৪ সালে বনকেশর চকপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র জামিরুল ইসলামের কাছে থেকে রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেন, একই গ্রামের হাজি ওয়াহেদ আলীর পুত্র মতিউর রহমান ও জিয়াউর রহমান।যাহার দলিল নম্বর ৩১৩১/১৪,তারিখ
২৫।৬।২০১৪ ইং। এসব জমি ক্রয়ের পর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তারা তাদের নামে খাজনা-খারিজ করে ডিসিআর কেটে নিয়েছেন।যাহার খারিজ কেস নম্বর- ১৪৯৭/৯-১/১৪-১৫, প্রস্তাবিত খতিয়ান ১২২৬, হোল্ডিং নম্বর ১২২৬ ও পরিমান ৫০ শতক।
স্থানীয়রা জানান,গত ২০২৪ সালে পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের নেপথ্যে মদদে আওয়ামী মতাদর্শী জামিরুল ইসলাম ৫০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতক জোরপুর্বক দখল করে নেয়। এসময় মতিউর ও জিয়াউর বাধা দিতে গেলে জামিরুল তাদের নাশকতা মামলার আসামি করার ভয়ভীতি দেখায়।এতে মামলার ভয়ে তারা ফিরে আসে।এদিকে আবারো ৩০ শতক জমির মধ্যে জামিরুল ১০ শতক জমি জবরদখলের পাঁয়তারা শুরু করেছে।
এদিকে মতিউর ও জিয়াউর বলেন, ওই জমির ওপর আদালতের ১৪৪ ধারা জারী বলবদ রয়েছে। কিন্ত্ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে জামিরুল জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জামিরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি জমি পাবেন তাই দখলে নিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111