ইস্রাফিল হোসেন ইমনঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদ গ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুজাতা খাতুন,ঘটনার ৭দিন আগে কক্সবাজার স্বামীর বাসায় অবস্থান করেন । এখন অব্দি সেখানেই রয়েছেন তিনি। এরই মাঝে এলাকায় একটি মারামারি ঘটনায় তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রানি করার জন্য মানিক আলী বাদী হয়ে মারামারি মামলায় ২ নং আসামি করেছেন সুজাতা খাতুন কে!
১২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সুজাতা খাতুনকে এলাকার মারামারি ঘটনায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আসামি করায় এলাকা সচেতন মহল ও অনেক নারী পুরুষ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারগণ তীব্র নিন্দা এবং জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দায়িত্বরত ইউপি মেম্বারকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে আসামি করায় তার জন্য সম্মানহানিকর বিষয় দাঁড়িয়েছে। তাকে অহেতুক হয়রানি না করে দায়েরকৃত মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শহিদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ওই মিথ্যা মামলার আসামি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী নিন্দা জ্ঞাপন ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এই কারণেই যে মারামারির ঘটনার ৭ দিন আগে অর্থাৎ ২০ শে ফেব্রুয়ারি সুজাতা খাতুন মেম্বার সিলেটে । মারামারি ঘটনা ঘটে ২৭ শে ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক এগারোটা সময়। যা অধ্যবধি সুজাতা মেম্বার সিলেটেই অবস্থান করছেন। এ বিষয় এলাকার অনেকেই জানেন । বিশ্বাস না হলে সুজাতা খাতুন মেম্বারের মোবাইল টেকিং কল লিস্ট দেখলেই জানা যাবে ঘটনার দিন তিনি সিলেটে ছিলেন না ভেড়ামারায় ছিলেন ? তিনি কিভাবে এই মামলায় আসামী হয় ? বিষয়টি অনেকের কাছে বোধগম্য নয়। সুজাতা খাতুন মেম্বারের প্রতি ঈশানিত হয়ে শত্রুতাই করে মানিক তাকে এলাকার মারামারি মামলায় জড়িয়ে আসামি করেছেন। যা এখন এলাকায় নিন্দনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভেড়ামারা থানা চাঁদ গ্রাম ইউনিয়নের চাঁদগ্রাম গোরস্থান সংলগ্ন পাড়ার মৃত সুরত আলির ছেলে মোঃ মানিক আলী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য সুজাতা খাতুন সহ ৪জনার বিরুদ্ধে গত ১/৩/ ২৫ তারিখে ভেড়ামারা থানা মামলা দায়ের করেছেন । যাহা মামলা নং- ২ ।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, ১ নং ও ২ নং আসামিদের পরস্পরযোগ সাজোসে ও পরিকল্পনায় এক তিন ও চার নং আসামীরা সহ অজ্ঞতনামা আরো দুই তিন জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা লোহার পাইপ হাতরি ও লাঠি সোটা নিয়ে অত্র এলাকার দাউদের বাড়িতে রাত আনুমানিক ১১ টার সময় প্রবেশ করে এবং আসামিরা দাউদ উপর চওড়া হয় পরে তাকে মারধর করে ও স্বামীকে ঠেকাতে গিয়ে স্ত্রী সাগরি খাতুন ও রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়।
সুজাতা খাতুন এর সাথে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার স্বামী কক্সবাজারে বিদ্যুৎ লাইনম্যান হিসাবে চাকরি করেন। আমি আমার ছেলেমেয়েদের কে নিয়ে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি তার কাছে আসি এবং আমি এখন পর্যন্ত সেখানেই আছি। এরই মাঝে এলাকায় একটি মারামারি ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে । যেখানে আমি ঘটনার সাতদিন আগেই চলে এসেছি। সেখানে আমি উপস্থিত থেকে কিভাবে মারামারি করলাম বা ঘটনার সাথে জড়ালাম। মানিক আমার উপর ঈর্ষানিত হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বা সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমাকে এই মামলায় আসামি করেছে। আমি উপস্থিত নেই এই ঘটনা শোনার পর এলাকাবাসী নিন্দা জানিয়েছে।
এলাকার বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন,ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে সুজাতা ছিল না ঐদিন তিনি কক্সবাজার স্বামীর বাসায় ছিল যাহা তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এর পর ও ইউপি সদস্য সুজাতা খাতুন কে আসামি করা ঠিক হয়নি । যারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মারামারি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
এই ঘটনায় গতকাল সকালে চাঁদ গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ এক আলোচনা সভা করেন। সবাই বক্তাগণ বলেন,চাঁদগ্রাম ইউপি মহিলা সদস্য সুজাতা খাতুন কে মিথ্যা মামলায় আসামি করাই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তীব্র নিন্দা ও মামলা থেকে সুজাতা খাতুনকে অব্যাহতির জন্য অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জোরদাবি জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদ গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসাম্মৎ তাহেরা খাতুন। মোসাম্মাৎ শেফালী খাতুন।
পাটগ্রাম ইউপি সদস্য কারিবুল ইসলাম রনি। বাবু হোসেন। এনামুল হক ।জহরুল ইসলাম মন্টু। আজমল হোসেন । শাহিন আক্তার শান্তি। হানিফ শাহ, মন্জুরুল হক ভুট্টো, মোজাফফর আলী। সচিব কাজী মোঃ তৌহিদুজ্জামান প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম মুরসিদ (লিটু সিকদার) মোবাইল: 01728 311111