কাজী নূরঃ

রমজান ও পবিত্র ঈদ উল ফিতর নির্বিঘ্ন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যশোর পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলাজুড়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯টি থানায় পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি দ্বিগুন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত করবে বিশেষ টিম। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার যশোরের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূর -ই- আলম সিদ্দিকী।

তিনি জানান, পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় নিয়মিত পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে অতিরিক্ত সাতশ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে ২৫টি টিম পায়ে হেঁটে টহল, ৬০টি মোবাইল টিম, ১৩টি পিকেট টিম, ২৭টি বাইক ফোর্স কাজ করছে। রমজানে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির অপতৎপরতা রোধে টহল আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন তিনি।

পবিত্র রমযানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশনের মধ্যে এই অভিযান চলমান থাকবে। সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কাজ করছে। ফুটপাট দখল ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। নওয়াপাড়া নৌ বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষভাবে নজরে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যশোর পুরাতন ও বড় শহর। ঈদকে সামনে রেখে যশোর শহরে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। সেই লক্ষেও শহরের সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে। অন্য উপজেলার চেয়ে শহরেই ৩০টি বেশি চৌকস টিম কাজ করবে। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে পুলিশের কার্যক্রম আরও বেগবান করে যশোরবাসীকে অধিকতর নিরাপদে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম) আবুল বাশার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান, যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া, যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাফুজুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে পুলিশের একাধিক কমকর্তা জানিয়েছেন, পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। সাধারণত এ সময় ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেশি ঘটে। প্রতি বছরই রমজানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। বাজারে ক্রয়- বিক্রয় বেড়ে যাওয়ায় অপরাধীদের তৎপরতাও বাড়ে। এ কারণে রমযানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ আগে থেকেই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। তবে এবার অন্তর্র্বর্তী সরকারের সময় রমজানে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি তৎপর রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এবার রমযানে অপরাধ দমনে সব ইউনিট মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।