ফিরোজ আলমঃ
রাজশাহীতে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের জন্য চালককে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এবং ২ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলার মোহনপুর থানা-পুলিশ যৌথভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চারজন আসামি রা হলেন-মোহনপুর উপজেলার তিলাহারী পূর্বপাড়া গ্রামের লায়েক আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আরিফ (২৬), পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শয়ন ইসলাম (২৮), রাজশাহী নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়ার দিপক সাহার ছেলে দেবর্শিষ সাহা (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলীনগর বুধপাড়া গ্রামের সাম মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)।
ঘটনার বিবরণ সুত্রে জানাগেছে, মোহনপুর থানার পুলিশ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বড়াইল গ্রামের তেতুলতলা পুকুর থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নিহত ব্যক্তি আব্দুল মালেক (৪২) বলে শনাক্ত হয়, যা তার স্ত্রী কাজলের সহায়তায় নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী কাজল বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন, মোহনপুর থানার মামলা নং ১৭। তারিখ ২৫-০২-০২৫ ইং। এ নিয়ে মোহনপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
মোহনপুর থানার মামলা'র তদন্তকারী অফিসার এস আই আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের তিন দিনের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে, সোমবার (৩ই মার্চ) মামলা নথি পর্যালোচনা করে শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
মোহনপুর থানায় সরজমিনে গিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভ্যানচালক মালেক। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা কোমল পানীয়র সঙ্গে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। তারপরও মালেকের ঘুম না এলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তার ভ্যানটি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়। মূলত ওই ভ্যানের জন্যই খুন করা হয় মালেককে। অভিযানে অটোরিক্সা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আসামিরা এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হেলেনা আক্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, কালক্ষেপণ না করে দ্রুত অভিযানে নামে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ৪জন আসামী ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডর সাথে অন্য কোন আসামি জড়িত আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি গণের নিকট হতে ও লুন্ঠিত অটোরিক্সা, মোবাইল ও অটোরিক্সা বিক্রির ২৫,০০০/-হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে বলে জানান এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম মুরসিদ, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha