ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একান্ত বিপদে না পড়লে কেউ ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেনা। চলাচল করতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলার সাতৈর বাজার থেকে ডোবরা হয়ে চিতার বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি চার বছর আগে সংস্কার করা হয়। দুই বছর না যেতেই সড়কের বিটুমিন উঠতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ভাংতে শুরু করে সড়কটি। ভাংতে ভাংতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে সড়ক জুড়ে এখন শুধুই গর্ত।
বৃষ্টি বাদলের দিনে গর্তের ভিতর জমে থাকে পানি। সড়কে চলতে গিয়ে মানুষকে নাকাল হতে হয়। পানি-কাদা ছিটে নষ্ট হয়ে যায় পথচারী আর যাত্রীদের পোষাক। মাঝে মধ্যেই গর্তে পড়ে উল্টে যায় সাইকেল, ভ্যান, অটোরিক্সা। সাতৈর থেকে যদি কেউ ডোবরা বা চিতার বাজার যেতে চায় তাকে এ ভাঙ্গা চুরা সড়কটিই ব্যবহার করতে হবে।
বিকল্প পথে যেতে চাইলে তাকে ঘুরতে হবে কম করে হলেও ১০-১২ কিলোমিটার। কারণ সড়কটি গিয়েছে ভোতনের মাঠ নাম করে একটি বড় মাঠের মধ্য দিয়ে। বিকল্প পথে যেতে হলে তাকে ঘুরতে হবে উত্তরে জয়নগর না হলে দক্ষিণে চালিনগর।
সাতৈর বাজারে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করে ইউনিয়নের ডোবরা, মোহনপুর, সিবানন্দপুর, কয়ড়া ও চিতারবাজারে মানুষ। চিতার বাজার হয়ে সড়কটি চলে গেছে পাশের সালথা উপজেলায়। এ জন্য সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।
সাতৈর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামচুল হক শাম বলেন, জনগুরুত্ব সম্পন্ন এ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে মানুষের চলাচলের উপযোগি করার দাবি জানান তিনি।
সাতৈর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সাহিদুর রহমান সজল বলেন, সাতৈর একটি প্রসিদ্ধ বাজার ও ব্যবসায়ী সেন্টার। সপ্তাহে তিনদিন এখানে হাট বসে। তাছাড়া ঐতিহ্যবাহী সাতৈর শাহী মসজিদ রয়েছে এখানে। ডোবরায় রয়েছে একটি জুট মিল। সে জন্য সাতৈর ডোবরা চিতার বাজার সড়কটি খুবই ঘুরুত্বপূর্ণ।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সড়কটি পাকা করা হয়। মাঝে একবার সংস্কার করা হলেও বর্তমানে সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। ৫ কিলোমিটার সড়কে কমপক্ষে তিন হাজার গর্ত আছে। দ্রুততম সময়ের মাঝে সড়কটি সংস্কার করা হোক।
সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কটিই নষ্ট হয়ে গেছে। যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কঠিন। জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, একেতো সড়কটি বিলের মধ্যে। তারউপর সড়কের দুপাশে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করার কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। সড়কের পাশের পুকুরগুলির যদি পাড়ি থাকতো তাহলে রাস্তা ভাংতো না। সড়কটি সংস্কারের জন্য এ বছর প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha