রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে পাঠ্যবই না পাওয়ায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও এখনো সকল বই পায়নি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অনেক কমে গেছে এবং মোবাইল আসক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, "আমার ছেলে এখনও কোন বই পাইনি। বই না থাকায় সে সবসময় মোবাইলে গেম খেলতে ব্যস্ত থাকে।" কে.এন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হানিফ আলী খান বলেন, শিশু, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর বই না পাওয়ায় এ তিনটি ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম। তবে আমরা পুরাতন বই সংগ্রহ করে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া অনলাইন থেকে পিডিএফ প্রিন্ট করে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
বড়বড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পূজা রানী বলেন, "বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের কোনো বই এখনো পাইনি। পিডিএফ কপিও নেই। ফলে সময়মতো সিলেবাস শেষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।"
উধনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, "সকল শ্রেণীর সকল বই না পাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। কবে বই পাওয়া যাবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।"
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, "বিলম্বে বই পাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও শিক্ষকরা শিক্ষক সহায়ক বই অনুযায়ী শ্রেণী পাঠদান করছেন। আগামী রবিবার ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর তিনটি করে বই সকল বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর সমস্যা না হয় সে লক্ষ্যে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বইয়ের চাহিদা ইতিমধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।"
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওয়াজেদ আলী মৃধা বলেন, "শিক্ষা কার্যক্রম সামান্য ব্যাহত হয়েছে। সে কারণে এই সময় সহশিক্ষা কার্যক্রম গুলো বেশি চলছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল শিক্ষার্থী বই পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।"
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫