আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুরের হাটরা মরা বিলে দেশী পেঁয়াজ বীজ চাষ করে কৃষকেরা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের অভিযোগ,মোকিমপুর হাটরা গ্রামের মৃত বাবুর পুত্র ও পেঁয়াজ বীজ ব্যবসায়ী এনামুল দেশী বলে ভারতীয় নিম্নমানের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
গত ২৯ জানুয়ারী বুধবার এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষক আবেদ আলী বাদি হয়ে এনামুলকে বিবাদী করে মোহনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি' বুধবার সরেজমিন হাটরা মরা বিলে দেখা গেছে, পেঁয়াজ চাষি আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, আবুল কালাম, মিলন, আয়েজ উদ্দিন, রুবেল, মুরশেদ আলী ও সামশুল হকসহ প্রায়
২০ জন কৃষক পেঁয়াজখেতে হা-হুতাশ করছে। এসব কৃষকেরা বলেন, মোকিমপুর হাটরা গ্রামের মৃত বাবুর পুত্র এনামুল হকের কাছ থেকে দেশী পেঁয়াজ বলে ৩ হাজার ৮০০টাকা কেজি দরে প্রায় ৮০ কেজি পেঁয়াজ বীজ কিনে বপণ করেছিলেন।
কিন্ত্ত পেঁয়াজের চারা লাল রং হয়ে গজাতে শুরু করলে তাঁরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন এবং বুঝতে পারেন তাদের কাছে দেশী পেঁয়াজের নামে ধোঁকা দিয়ে ভারতীয় নিম্নমাণের পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, সাধারণত ভারতীয় পেঁয়াজের রঙ লাল হয়ে থাকে, আর দেশী পেঁয়াজের রঙ হয় সাদা। প্রায় ১০০ দিন পার হয়ে গেলেও পেঁয়াজের গুটি গোল না হয়ে ক্রমশ সরু হয়ে মাটির ভিতরে গেঁড়ে যাচ্ছে। পেঁয়াজ উৎপাদন হবার কোনো সম্ভাবনাই নাই।
পেঁয়াজ চাষীরা জানান, পেঁয়াজ বীজ বিক্রির সময় বীজ ব্যবসায়ী এনামুল হক দেশী পেঁয়াজের গ্যারান্টি দিয়ে বীজ বিক্রি করেছেন তাদের কাছে। দেশী পেঁয়াজ না হলে যাবতীয় ক্ষতি পূরণ দেয়ার শর্তে তিনি কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করেছেন। এসময় কৃষকরা হতাশ হয়ে জানান, বছরে এই একটা ফসলের দিকে তাঁরা তাকিয়ে থাকেন। অথচ সারাটা বছর এখন লোকসান গুনতে হবে। কৃষকরা বলছেন,তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বীজ ব্যবসায়ী এনামুলকে জানালে এনামুল কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি এমনকি এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বীজ ব্যবসায়ী এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,দেশী পেঁয়াজ বীজ তিনি কিনে এনে বিক্রি করেছেন।এখন কোনো কারণে গাছ না গজালে সেই দায়তো তার নয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবেদ আলী বীজ ব্যবসায়ী এনামুল হককে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরুন দাবি করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ (লিটু সিকদার), মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha