ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার
পদ্মায় পানির লেভেল কম থাকায় এবারও পানি দিতে পারছে না দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ভেড়ামারার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ পাম্প। চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদে মুখ থুবরে পড়েছে।
পদ্মানদী থেকে একটি খালের মাধ্যমে পানি এনে পাম্প মেশিনে পানি তুলে সেচ প্রকল্পের ক্যানেলে সরবরাহ করা হয়। এবার পদ্মায় কাঙ্খিত পানি না থাকায় পদ্মানদী থেকে জিকের ইনটেক চ্যানেলে (খালে) পানি আসছে না। জিকে সেচ পাম্পের মুখে পানি না আসার কারণে পাম্প মেশিন চালু করা সম্ভাব হচ্ছে না। ফলে বোরো’র ভরা মৌসুমে খাঁ খাঁ করছে খালটি। জিকে সেচ পাম্প বন্ধ, বোরো ধান আবাদে কৃষকের মাথায় হাত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পের আওতায় খালে পানি সরবরাহের কথা ছিল।
বোর ভরা মৌসুম চলছে এবং জানুয়ারী মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে খালে পানি নেই। পানির অভাবে জিকের মেইন ৩টি পাম্পই বন্ধ। মৌসুমের বোরো চাষ নিয়ে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী ৩ জেলা চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা কয়েক লাখ ধানচাষী। স্বল্পখরচের সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন চারগুণ বেশি খরচ করে স্যালো মেশিনের সাহায্যে কোনো মতে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা সব খালে পানি আসার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারি শেষ হয়ে গেলেও পানির দেখা মেলেনি জিকে সেচ প্রকল্পের খালে। বোরো চাষাবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
কৃষকেরা বলছেন, বোরো ধানে সবচেয়ে বেশি সেচ দিতে হয়। ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে ধানে দানা আসা পর্যন্ত সেচ লাগে। কখনো দিনে দুইবার ও সেচ দিতে হয় জমিতে। জানুয়ারি থেকেই ধান আবাদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু জিকে খালে পানি নেই। দিশাহারা অবস্থার মধ্যে রয়েছেন চাষীরা। অনেকেই আবার শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ টাকা জোগাড় না করতে পারায় ধান লাগানো বন্ধ রেখেছেন।
এই প্রকল্পটি চালু রাখতে প্রতি বছর ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরও প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ কৃষক এই সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রকল্পের শাখা-উপশাখা ও নিষ্কাশন খালগুলো পলি ধারা ভরাট হয়ে যাওয়াকে দায়ী করছে কৃষকরা। ফলে নিজেরাই ইঞ্জিনচালিত টিউবওয়েল বসিয়ে জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ব্যাপক আবাদি জমিতে পানির চাহিদা ভূগর্ভস্থ থেকে তুলে জমিতে দেয়াতে পানির স্তর ক্রমে গভীর থেকে গভীরে চলে যাচ্ছে।
কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে জিকের অধীনে বিভিন্ন ছোট বড় ক্যানাল খনন কাজ না করায় ভরাট হয়ে গেছে ক্যানেল গুলো। পানি চলাচল না করায় অবৈধ দখলদারদের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ক্যানেল গুলো। ফলে পানির অভাবে থমকে গেছে চাষিদের মাঠের বোরো চাষসহ কয়েক হাজার একর ফসলের আবাদ।
জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় তিনটি পাম্পের সাহায্যে পানি দেওয়া হতো। প্রকল্পের স্বর্ণযুগে নব্বইয়ের দশকে ১ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়। মোট তিনটি পাম্পের মধ্যে ৩ ও ২ নম্বর পাম্প দুটি ২০১৭ ও ২০২১ সালে থেকে বিকল। মিরামত করে কিচ্ছু দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
২০২২ সালে প্রকল্পের দুটি পাম্প অকেজো হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়াসহ নানা জটিলতায় পাম্প দুটো বন্ধ থাকে। ২০২৪ সালে বাকি ১টি পাম্প দিয়ে কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল কিচ্ছু দিন।
কুষ্টিয়াসহ চার জেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় ১৯৫৪ সালে। সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষি খাত ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছিল, উৎপাদন ব্যয়ও কমেছিল। যার সুফল শুধু কৃষকরাই পাননি, ভোক্তারাও পেয়েছেন।
প্রকল্পটির জমির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার একরে। জি কে সেচ প্রকল্পটির আওতাধীন ৪ জেলার কৃষকদের জমিতে সেচ সরবরাহের লক্ষ্যে সে সময়ই প্রকল্প এলাকায় খনন করা হয় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান সেচ খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল, ৯৯৫ কিলোমিটার উপশাখা খাল, ৯৭১ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল। নির্মাণ করা হয় ২ হাজার ১৮৪টি জলকাঠামো।
জিকে প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে এবার চার জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল চার জেলার কৃষির গুণগত মান বৃদ্ধি, স্বল্প ব্যয় এবং উৎপাদন বাড়ানো। শুরুর দিকে চার জেলার ১৩ উপজেলার ৪ লাখ ৮৮ হাজার একর জমি প্রকল্পের আওতাধীন ছিল। পরে পদ্মা নদীতে পানি কমায় পাম্পের প্রধান খালের মুখে পলি ও বালুচর জমে ওঠে। পানি না থাকায় একে একে ভরাট হতে থাকে জি কে প্রজেক্টের খালগুলো। পরে প্রকল্পের আওতাও কমে আসে।
খালটির পাশেই ধানের আবাদ করতে ডিজেল চালিত গভীর নলকূপ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির সেচ দিচ্ছে ওই এলাকার কৃষকরা। গভীর নলকূপের পানি দিয়ে কোথাও চলছে জমি প্রস্তুতের কাজ, আবার কোন জমিতে চলছে ধানের চারা রোপণ। অথচ আগে এই খালের পানি দিয়েই ধানের আবাদ করতেন তারা।
কৃষকরা বলছেন, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে যেখানে খরচ হয় ৩০০ টাকা, সেখানে ডিজেল চালিত পাম্পের পানি দিয়ে আবাদ করতে লাগছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তাছাড়া জিকে খালের পানিতে ধানের ফলনও বেশি হয়। তাই ভরা মৌসুমে দ্রুত জিকের পানি সরবরাহের দাবি তাদের।
ভেড়ামারা ড্রেজার অপারেশন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস বলেন,গতবছর ইনটেক চ্যানেলে সাড়ে ৯শ’ মিটার খাল খনন কওে মেশিন চালানো হয়। এবার জিরো থেকে ১৩শ’মিটার এমন কি তার ও অধীক খনন কাজ করা লাগতে পারে। বর্তমানে পদ্মায় পানির স্তর অনেক কম। খনন কাজ অর্ধেক হয়েছে। আমরা ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ দ্রুত চালাচ্ছি। সম্ভবত ২০-২৫দিনের মধ্যে ড্রেজিং কাজ শেষ হবে এবং পদ্মায় পানি বেশী আসলেই সেচপাম্পের গুরায় পানি আসবে তখন পাম্প মেশিন চালু হবে।
পাউবো ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আমন চাষে পানির ঘাটতি মেটাতে প্রকল্প শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটি প্রায় সারা বছরই তিন মৌসুমে কাজে দিচ্ছিল। তবে পদ্মায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় তিন-চার বছর আগে থেকে বোরো মৌসুমে শুধু কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়। মাগুরা ও ঝিনাইদহের খালগুলোর কপাট বন্ধ রাখা হয়। সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালে পানি থাকলে সেচের পাশাপাশি আশপাশের নলকূপ ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে বলে জানালেন কৃষকেরা।
কৃষি উদ্যোক্তা সজিবুল ইসলাম জানান, ভরা এই মৌসুমে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করা হলে আমরা ধানের ফলন কম পাব। এতে করে কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
ভেড়ামারা চাদগ্রামের কৃষক বুলবুল কবীর বলেন,বোরো, আমন, আউশ এই তিনটি মৌসুমে তিনি জিকে প্রকল্পের আওতায় জমিতে ধান চাষ করেন। জিকের পানিতে নামমাত্র সেচ খরচের মাধ্যমে তিনি এতদিন ধান আবাদ করে এসেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রকল্পের পানি না পাওয়ায় এবার তাকে স্যালো মেশিনের সাহায্যে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে অনেক টাকা গুনতে হচ্ছে।
বামনপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিব বলেন, এবার বোরো ধান চাষ করা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে পড়বে। চড়া মূল্যে ডিজেল কিনে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া খুব ব্যয়বহুল হবে। তিনি অবিলম্বে জিকে সেচ কার্যক্রম চালুর দাবি জানান।
জিকে কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন বলেন, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ৩০০ টাকা। প্রকল্পের সেচের পানি না মিললে কৃষককে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হয়। এতে করে কৃষকের আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।এ বছর আমরা এখনো পানি পাইনি। কবে নাগাদ পানি পাবো তাও জিকের লোকজন বলতে পারছে না।
পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শুরুতে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হতো। বাকি দুই মাস চলত রক্ষণাবেক্ষণ। ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩টি উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সেচযোগ্য এলাকা রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ১০৭ হেক্টর।
১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমন (খরিপ-১) মৌসুমে সেচের আওতায় আসা সর্বোচ্চ জমির পরিমাণ ৪৩,০০০ হেক্টর এবং আউস (খরিপ-২) মৌসুমে ৯৯,০০০ হেক্টরে পৌঁছায়।
সেচ প্রকল্পের উপ প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, এই সময়ে পদ্মায় পানি কম থাকায় দুটি জেলার মাত্র ৪টি উপজেলায় পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। বর্তমানে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ পাম্প চালু হবে, সেটাও কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা জানান, জিকে প্রজেক্টের আওতায় ভেড়ামারার দুটি ইউনিয়ন চাঁদগ্রাম ও বাহিরচরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পড়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ধানের আবাদ ৬৩৫ হেক্টর, সরিষা আবাদ ১১৯ হেক্টর। বাদবাকি ভুট্টা, গমসহ অন্যান্য ফসল। তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে কৃষকদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। অনেককেই বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতায় এনেছি।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মো: রফিকুজ্জামান বলেন, জিকের পানি আসতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করে ধান রোপণে কৃষকদের ব্যয় বাড়বে। তবে ধান রোপণের কিছুদিন পর পানি এলেও কিছুটা সুফল মিলবে। এতে ধান চাষের খরচ অনেক বেড়ে যাবে।
দক্ষ জনবল না থাকায় এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষ তথা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে প্রকল্পের কাক্সিক্ষত সুবিধা সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হচ্ছে না। তবে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে জিকের আওতাধীন লাখ লাখ কৃষক সেচ সুবিধা পাবে। আবাদ হবে লাখ লাখ হেক্টর জমি।
ভেড়ামারায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (বা পা উ বো)প্রধান জিকে পাম্প হাউস এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর এই সেচ প্রকল্পের কাজ চলে। এটি মূলত পদ্মা নদীর পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ৫ দশমিক ৫ মিটার। ৪ দশমিক ৫ মিটারের নিচে সেচ কার্যক্রম সম্ভব নয়। এ ছাড়া নদীতে বড় আকারের চর পড়েছে। আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছি। পানির লেভেল যদি ঠিক থাকে এবং ড্রেজিংয়ের কাজ সুসম্পন্ন হলে, আশা করি ফেব্রুয়ারির কিংবা মার্চের প্রথম সাপ্তাহের মধ্যে সেচ প্রকল্প চালু করা হবে।
তিনি আরো বলেন,মেনটেনেন্স বাবদ প্রতিবছর ৫০ থেকে ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়। গত বছর প্রায় ৫৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রকল্পটি সচল এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে খাদ্যে স্বনির্ভর করতে সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে অ্যান্টি ফারাক্কা তথা গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ করা ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ (লিটু সিকদার), মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha