আজকের তারিখ : এপ্রিল ২০, ২০২৫, ৬:৫২ পি.এম || প্রকাশকাল : জুলাই ৬, ২০২১, ৯:১৩ এ.এম
চাটমোহরের হাট-বাজারে কারেন্ট ও চায়না জাল বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও চায়না জাল। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ জাল দেদারছে বিক্রি হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সর্ববৃহৎ অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) হাটের মাঝে কারেন্ট জালের বিশাল পশরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার মির্জাপুর,শরৎগঞ্জ ও ছাইকোলা হাটেও দেদারছে এ জাল বিক্রি হচ্ছে।
মির্জাপুর হাটে প্রতি বৃহস্পতিবার ও অমৃতকুন্ডা হাটে প্রতি রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হয়। গত রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে
অমৃদকুন্ডা হাটে গিয়ে দেখা গেল,চাটমোহরের পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার মসিন্দা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মকবুল হোসেন,কুদরত প্রাং এর ছেলে রবিউল,শফিকুল ইসলামসহ ১০/১২জন বিক্রেতা কারেন্ট জালের দোকান পেতে বসে কারেন্ট জাল বিক্রি করছেন।
তারা জানালেন, প্রতি রবিবার হাটের দিন তারা কারেন্ট জাল বিক্রি করেন এ হাটে। চাটমোহর পুরাতন বাজারে নিরঞ্জন ও নিমাই স্টোরে বিক্রি হচ্ছে চায়না জাল। প্রকাশ্যে এই জাল বিক্রি হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। নিশ্চুপ উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের নদী,খাল-বিলে পানি আসতে না আসতেই এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্যজীবি কারেন্ট জাল ও চায়না জাল পেতে বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করছেন। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই এ জাল দিয়ে মাছ নিধন শুরু করা হয়েছে।
২০০২ সালের সংশোধিত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন,পরিবহণ ও বাজারজাতকরণ,সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনের যেমন কোন প্রয়োগ নেই,তেমনি কেউই তা মানছেনা। ফলে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম জানান,কারেন্ট জাল ক্রয় বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খুব তারাতারি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha