নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ‘কালিয়া সেতুর’ নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি। সেতুটির নির্মাণ কাজের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তৃতীয় দফায় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সুত্র জানিয়েছে।
এই দীর্ঘ সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকবাসির মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়াসহ হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। নবগঙ্গা সেতুর নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে? নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নড়াইল-কালিয়া সড়কের নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়।
সেতুটি ৬৫ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৪ টাকা ব্যায়ে ৬৫১.৮৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থ নির্মিত হবে। এ সেুতর নির্মাণ কাজ মো.মইনুদ্দীন ও মো. জামিল ইকবাল নামক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দিয়ে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নকশা জটিলতা ও করোনাকালের দোহাই দিয়ে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম কিস্তিতে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছর সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
কিন্তু সেই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ না হওয়ায় একই ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত সেতুটির নির্মাণ কাজের সময়সীমা আরও একবছর বৃদ্ধি করিয়ে নেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ৩ বছরেও একটি ছোট সেতুর কাজ শেষ না করে বার বার নির্মাণ কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির ঘটনায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন নবগঙ্গা পাড়ের সচেতন মানুষ। তাদের মতে গত ৩ বছরে সেতুটির ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আদৌ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সচেতন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সেতুটির নির্মাণ শেষ হলে কালিয়া উপজেলাসহ নড়াইল জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের সড়ক যোগাযোগ দূর্দশা লাঘব হরে।ওই সেতুর জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে কালিয়ায় যেমন গড়ে ওঠেনি শিল্প-কলকারখানা, তেমন কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করণেও রয়েছে মারাত্মক সমস্যা, তাই সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মিনহাজুল ইসলাম বলেন,‘সেতুটির নির্মাণে নকশা জটিলতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ করোনা সংকটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে এক বছর করে ৩ বার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৬১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’ নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুজ্জামান বলেন,‘ জমি অধিগ্রহন ও করোনা সমস্যাসহ নানা জটিলতার কারণে সেতুটি যথা সময়ে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবারের বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha