ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজুড়ো গ্রামের ওই মহিলার স্বামী ঢাকায় নেট ফিসের (মাছ ধরা জাল) কম্পানিতে চাকরি করেন। সে সুবাদে ওই গৃহবধূ ও তার এক মেয়ে বাড়িতে থাকেন। তার একাকিত্ব থাকার সুযোগে গ্রাম পুলিশ হাসান বিশ্বাস তাকে বহুদিন ধরে কু- প্রস্তাব সহ বিভিন্ন প্রকার ভাবে উত্ত্যক্ত করেন। গ্রাম পুলিশের বাড়ি একই গ্রামের ওই মহিলার বাড়ির দুইশত গজ দূরে। গ্রাম পুলিশ মোঃ হাসান বিশ্বাস পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে কর্মরত রয়েছেন।
ওই গৃহবধূ বলেন, গত বুধবার ২৩ জুন রাতে গ্রাম পুলিশ আমার ঘরের দরজায় এসে টুকা ও গেটের স্টিলে বিকট শব্দ করলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমাকে বলে ঘরের দরজা খোল। তখন আমি চিৎকার দিলে হাসান বিশ্বাস পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে তোকে পরে দেখে নিব। তারপর আমি ২৪ জুন তার দোকানে গিয়ে রাতের আচরণের কথা বললে হাসান বলে, তুই দরজা খুললেই বুঝতে পারতি কতো ধানে কতো চাল।
তখনই আমি আমার পায়ের জুতা দিয়ে তাকে পিটায় প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে হাসান আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। সে মূলে আমার বাড়িতে ডহরনগর ফাঁড়ির পুলিশ তোতা মিয়া এসে। বিস্তারিত জেনে চলে যায়।
ওই গৃহবধূর আরো বলেন, আমি ধুলজুড়ো গ্রামে নতুন বাড়ি করি প্রায় পাঁচ বছর আগে। আর তখন থেকে আমাদের বাড়িতে ওই গ্রাম পুলিশ আসা যাওয়া করে। ভালোই সম্পর্ক ছিল। তবে তার মনে ছিল আমার প্রতি লিপ্সা তার জন্য তিনি আমাকে বিভিন্ন প্রকার কু প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় তিনি এমন উত্ত্যক্ত করে।
এর আগে ২০২০ সালে ২৫ফেব্রুয়ারীতে। ওই গৃহবধূ হাসানের নামে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারীতে ওই গৃহবধূ রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিলে তার ঘরে তখন টয়লেট না থাকার জন্য সে তার ঘরের বাহিরের টয়লেটে যাওয়ার সময় লম্পট গ্রাম পুলিশ তাকে পিছন থেকে হামলা করে ধর্ষণের চেষ্টা করার দায়ে তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ফরিদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
তখন গ্রাম পুলিশের মাথার টনক নড়ে চড়ে বসে। তখন এলাকার বিভিন্ন প্রকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ধর্ণা ধরে আমার মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করেন। আমি ওই এলাকায় সুন্দর ভাবে শান্তিতে বসবাস করার জন্য এক প্রকার সালিশের মাধ্যমে মিটমাট করি। এর পর থেকে ভালোই কাটছিল দিন গুলো।
তার কিছু দিন যেতে না যেতেই গ্রাম পুলিশ আবার আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এবং বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে। তিনি আরো বলেন, সামান্য একজন গ্রাম পুলিশ। সে এসপির পাওয়ার ঘাটিয়ে অবৈধ কাজ করে কিভাবে পার পেয়ে যায়। ওই মহিলা অভিযোগ করে বলেন, গ্রাম পুলিশের এসব কর্মকান্ডের ইন্দন দাতার পিছনে অনেক শক্তিশালী। তার জন্য বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম করে পার পেয়ে যায়।
এ বিষয়ে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা বলেন, ওই মহিলার ছেলের বৌ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায়। বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়। এ মামলার জন্য তার ছেলেকে গ্রাম পুলিশের রেফারেন্সে তার ছেলেকে পুলিশ আটক করেন। তার জন্য ওই মহিলা ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রাম পুলিশ হাসানকে দেখে নিবে বলে বিভিন্ন প্রকার ভাবে হেয় করেন। এবং ধুলজোড়া গ্রামকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha