মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। নির্মাণ কাজের শতকরা ১০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এখন কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে। গতি না থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারনে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে কাজের কিছু অংশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ কাজটি ফেলে রাখায় রোদ ও বৃষ্টিতে প্রতিটা গ্রেডবিম ও কলামের রড়ে মরিচা পড়ে গেছে। এই রড দিয়ে কাজ করলে বৃহৎ এই ভবনের স্থায়ীত্ব কমে যাবে বলে অনেকে ধারাণা করছেন।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে প্রশাসনের চোঁখের সামনে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি থাকলেও তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি না থাকায় স্থানীয় মুছল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, দেশে পর্যাপ্ত মসজিদ থাকলেও একই স্থান থেকে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো মডেল মসজিদ নেই। তাই এ ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে মাগুরার মহম্মদপুর গত বছরের জুলাই মাস থেকে উপজেলায় ৪ তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর প্রায় এক বছর অতিক্রম হলেও কাজের অগ্রগতি শতকরা ১০ ভাগ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারন এই কাজের বাস্তবায়ন সময় মাত্র ১৮ মাস। যার তিনের দুইভাগ সময় শেষ হওয়ার পথে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে মোট ৫৬০টি মসজিদ নির্মান করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার সম্ভবনা নেই। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছরের জুলাই মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস লিটন ট্রেডাস ঝিনাইদহ কাজ শুরু করার প্রায় এক বছর পার হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। এর মধ্যে তিন মাসের অধিক সময় কাজ বন্ধ থাকায় প্রতিটা বিম ও কলামের রডে মরিচা পড়ে গেছে। এ অবস্থায় কাজ করলে মডেল মসজিদের স্থায়ীত্ব কমে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জানা গেছে, মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারের কাজের গাফিলতি নিয়ে আমি গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাগুরার জেলা প্রশাসকসহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অবহিত করেছি। এবং কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য ঠিকাদারের সাথেও বারবার কথা বলেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মিজানুর রহমান লিটন বলেন, গণপূর্ত বিভাগ বিল না দেওয়ায় কিছু দিন কাজ বন্ধ করে রেখেছিলাম। বিল পেয়ে আবার কাজ শুরু করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু আল্লাহ্হেল কাফী বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদার কে অবহিত করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তয়নকারী সংস্থা মাগুরা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ পাল বলেন, অর্থ বরাদ্দের স্বপল্পতার কারনে এতদিন কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ঠিকাদারকে বিল প্রদান করার পর কাজ শুরু করেছেন। মরিচা পড়া রড় পলিশ করে ঢালাই দেওয়ার জন্য ঠিকাদার কে ছিঠি দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha