দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, হাতিয়ার নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাসহ ১১ দফা দাবিতে গণ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ গণ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এইচ.এম. কাউছার আহমাদ। আরও বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়ালী উল্যাহ।
এ সময়, সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকা লোকারণ্য হয়ে ওঠে। ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মিছিল করে সমাবেশে যোগ দেন। বক্তারা তাদের ১১ দফা দাবির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং হাতিয়া দ্বীপের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা আরও বলেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত হাতিয়া গড়ে তুলতে হবে এবং ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়া, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিরোধিতা করেন বক্তারা।
ইসলামী যুব আন্দোলন হাতিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র হাতিয়া থানা দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাও. নূরুল ইসলাম শরীফ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, "ইসলামী দলকে ব্যবহার করে বিএনপি বারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং অন্যান্য দলও একই কাজ করেছে। আমরা পরগাছা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছি, কিন্তু এটা আর হতে দেওয়া যাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্টের পর যখন দেশের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল, তখন আমরাই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দিয়েছি, যা আনন্দবাজার পত্রিকায় ছবি সহ প্রকাশ হয়েছে। যারা বলেন ইসলামী আন্দোলনকে ভোট দিলে ভিন্ন ধর্মের লোকেরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না, এটা একেবারে ভুল।"