ইসমাইল হোসেন বাবু,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃ স্কুলে তালা। বাড়িতে পড়ানোর কেউ নেই। অনলাইন নাগালের বাইরে। এমনকি অনেকের বাড়িতে টিভি কিংবা বিদ্যুৎ সুবিধাও নেই।
এদিকে দারিদ্রপীড়িত চরাঞ্চলে করোনার অভিঘাত আরও নির্মম। অভাব বেড়েছে। অনেক শিশুর দিন কাটছে বাবা-মায়ের সঙ্গে খেত-খামারে কাজ করে কিংবা চরে চরে ছাগল চরিয়ে। ফলে পড়াশোনার সঙ্গে তৈরি হয়েছে যোজন যোজন দূরত্ব। বাড়ছে ঝরে পড়ার আশঙ্কা।
করোনার দীর্ঘ ছুটিতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চর গোলাপ নগর,চর ঢাকাপাড়া দুর্গম চরগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। থমকে যায় শ্রেণীকক্ষে প্রথাগত পাঠদানের বিষয়টি। বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা তার চিরায়ত ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে একটা শিক্ষাবর্ষের পুরোটাই। আরেকটি শিক্ষাবর্ষের অর্ধেকটা চলে যাওয়ার পথে। এই লম্বা সময়ে বিশেষ করে ভেড়ামারার চরাঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকার শিশুদের মনোজগতে বিদ্যায়তনের যে কাঠামো ছিল, তা চলে এসেছে অনেকটা বিলীয়মান অবস্থায়।
যেমন, আকলিমা ও নাছিমা। তারা দুজনই চর গোলাপ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। করোনা মহামারির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পরীক্ষা ছাড়াই তৃতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে উঠার জন্য তাদের কোনো ধরনের বেগ পেতে হয়নি। আবার চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর প্রায় ছয় মাস পার হতে চললেও নতুন বইগুলো খুলে দেখা হয়নি এখনো। পরিবার থেকেও পড়াশোনার কোনো চাপ নেই।আকলিমা ও নাছিমার দিন কাটে এখন চরে ছাগল চরিয়ে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha