আয়ুর্বেদ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদ উদ্ভাবন”। এই অনুষ্ঠানে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞগণ, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঔষধ শিল্পের প্রতিনিধিগণ ও বাংলাদেশের সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজনে বক্তব্য প্রদানকালে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার শ্রী পাওয়ান বাধে বলেন, আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতিসমূহের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ঐতিহ্যগত চিকিৎসা ক্ষেত্রসমূহে সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকাস্থ আয়ুর্বেদিক রিসার্চ সেন্টার ফর মাস্কুলোস্কেলেটাল ডিসঅর্ডারের প্রধান গবেষক মোখলেসুর রহমান, হামদর্দ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক চেয়ার ড. মুনাওয়ার হুসেন কাজমি আয়ুর্বেদের বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে তাঁদের দর্শন ব্যক্ত করেন।
আলোচনা শেষে ছিল বিশিষ্ট সেতার বাদক এবাদুল হক সৈকতের সঙ্গীত পরিবেশনা। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী স্টলগুলোও ছিল এই সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ।