আজকের তারিখ : নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৭:০৫ পি.এম || প্রকাশকাল : অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ৮:৪৫ পি.এম
নড়াইলে গোয়াল ঘরে আগুন যেন গরুর সাথে শত্রুতা
প্রান্তিক কৃষক ইসমাইল ফকির (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম চুরির ভয়ে প্রতিদিন রাতে পালাক্রমে গোয়াল খামারের ৫টি গরু পাহারা দিত। এর মধ্যে দু’টি ছিল গর্ভবতী। গোখাদ্যের ভীষণ অভাবের মধ্যেও তারা ধার-দেনা করে প্রাণীগুলিকে লালন-পালন করছিল। স্বপ্ন ছিল দু’টি গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের বাড়তি আয় হবে। কিন্তু রাতের আঁধারে গোয়াল ঘরে আগুন দেওয়ায় ৫টি গরু ও গোয়াল ঘর পুড়ে যাওয়ায় তাদের সে আশা শেষ হবার পথে। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ ইসমাইল ফকির জানান, প্রতিদিনের মতো আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির সাথে লাগোয়া গোয়াল ঘর পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছিলাম। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াই টার দিকে দেখি গোয়াল ঘরের কোনায় আগুন। তখন প্রতিবেশী নেয়ামত ফকির ও তার ছেলে আমানুল্লাহ ফকির, মানিক শেখ ও আবদুল্লাহ শেখকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখি। এ সময় চিৎকার দিলে ও পাশ্ববর্তী মসজিদের মাইকে গ্রামবাসীকে এক করে আগুন নেভানো চেষ্টা করে। পেট্রল দিয়ে আগুন দেয়ার প্রমান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক কষ্ট ও ধার দেনা করে গরুগুলিকে বড়ো করার চেষ্টা করছিলাম। এখন সব শেষ হয়ে গেল। দু’টি গরুর অবস্থা আশংকাজনক। বাকিগুলোর চিকিৎসা চলছে। গোয়াল ঘরটিও পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে গ্রামবাসী লাবলু মোল্যা বলেন, ইসমাইল ফকির ও নেয়ামত ফকির একই বংশের। তারা একে অপরের নিকটাত্নীয়। দীর্ঘ বছর ধরে তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান।
কালিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা পশু চিকিৎসক গরুগুলোকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এর মধ্যে দু’টির অবস্থা আশংকাজনক। মামলা এখনো হয়নি। মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha