আজকের তারিখ : ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ১০:২১ পি.এম || প্রকাশকাল : অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ৮:৫৭ পি.এম
বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নতুন চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন তানোর বিএনপি ও কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, গত ১৫:অক্টোবর মঙ্গলবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ে বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড,এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন তানোর বিএনপি ও কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত তানোর বিএনপির সাবেক সম্পাদক ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, পাঁচন্দর ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম মমিন, তানোর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী, তানোর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আব্দুর রশিদ, যুগ্ম-আহবায়ক আনারুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এমএ মালেক মন্ডলপ্রমুখ।
জানা গেছে, বিগত ১৯৪৯ সালের পহেলা নভেম্বর রাজশাহীর বরেন্দ্রের গোদাগাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন ড,এম আসাদুজ্জামান। রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান আসাদুজ্জামান বড় হয়েছেন। প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রকৃতির রুক্ষতা আর বৈরীতা মোকাবেলা করে। ছোট বেলায় খুব কাছ থেকে দেখেছেন প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের খরাপীড়িত আর দারিদ্রের কষাঘাতে নিষ্পেষিত এ অঞ্চলের কৃষি নির্ভর মানুষগুলোকে জীবন জীবীকার তাগিদে সংগ্রাম করতে। ছেলে বেলায় কৃষকের সঙ্গে মাঠে কাজ করেছেন নিজেদের জমিতে।
বিগত ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ম্যাকডোনাল্ড এ্যান্ড পাটনার- এর কনসালটেন্ট হিসেবে বিএডিসিতে কর্মরত ছিলেন। প্রকল্পের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৭ সালে বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে তার যাত্রা শুরু। শুরু হয় বাংলাদেশের ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ- উপরিস্থ সেচ ব্যবস্থাপণা নীতিমালা গভীরভাবে পর্যবেক্ষনের। দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞরা যখন মতামত দিয়েছিল রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে সেচ প্রদান সম্ভব নয়। তাদের মতামতের বিপক্ষে বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন তিনি। পুরো বরেন্দ্র এলাকা ঘুরে কারিগরি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে উপস্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিগত ১৯৮২-৮৩ সালে কারিগরি তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর পক্ষে-বিপক্ষে মত সুপারিশ আর তৎকালীন বিএডিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় ডিপ-টিউবওয়েল গভীর নলকুপ বসানোর।
বিগত ১৯৮৬ সালে প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। শুরু হয় বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কর্মযজ্ঞ। আসে একের পর এক সফলতা। ঠাঁ-ঠাঁ ধুধু বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় বৃষ্টি নির্ভর এক ফসলের জায়গায় শুরু হয় তিন ফসল উৎপন্ন। সবুজে সবুজে ভরে যায় ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চলের চারিদিক। বৃহত্তর রাজশাহী থেকে রংপুর জেলা পর্যন্ত পুরো উত্তরাঞ্চল-জুড়ে চলে বরেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকান্ড ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়। এদিকে বরেন্দ্রের অঞ্চলের প্রাণপুরুষ খ্যাত ড,এম আসাদুজ্জামানের বিএমডিএ'র চেয়ারম্যান হওয়ার খবরে উল্লাসীত হয়ে পড়েন বরেন্দ্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
ড.এম আসাদুজ্জামানের বড় ভাই বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক, অপর ভাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সামরিক সচিব। আরেক ভাই ড, এম এনামুল হক পুলিশের সাবেক আইজিপি, অপর ভাই দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক। তার পরিবারের সকলে উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত। তার মা রত্নগর্ভা খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। অন্যদিকে ড, এম আসাদুজ্জামানকে নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha