আজকের তারিখ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৩৩ এ.এম || প্রকাশকাল : জুন ১৫, ২০২১, ৪:৪৫ পি.এম
চলনবিলে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলছে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ও মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিলে এসেছে বর্ষার নতুন পানি। একই সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন পানি আসার সাথে সাথে বিল ও নদী-নালায় মা মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন জেলেরা। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে তারা। কিন্তু স্থানীয় মৎস্য দপ্তর বা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। মা এবং ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধে এখনই স্থানীয় প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে চলনবিলে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
পাবনা,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের চলনবিলাঞ্চলে এখন চলছে অবৈধ নানা উপায়ে মা মাছ শিকার। আর এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই,চায়না ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনে ও রাতে মা মাছ শিকার করে হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। গত এক সপ্তাহে চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, গুরুদাসপুর, সিংড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খালে বন্যার পানি আসায় বিভিন্ন হাট বাজার,মাছের আড়তে দেখা গেছে ডিমে পেট ভরা টেংরা,বাতাসী, পঁুটি, মলা, বোয়াল, শোল, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে
বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে , সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছগুলো। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলো ডিম ফুটাতে থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী ডিম এবং মা মাছগুলো শিকার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিলে পানি আসার সাথে সাথে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এলাকার লোকজন ও মৎস্যজীবিরা। নষ্ট হচ্ছে ডিমগুলো।
চলনবিলে যেন রাত দিন পাল্লা দিয়ে চলছে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনে মহোৎসব।নদী এবং বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই, কারেন্ট,চায়না,খোরাজালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমে ভরপুর দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ নিধন অব্যাহত আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha