আমি/আমরা লক্ষ্য করছি যে, গত ৫ আগস্টের পরে ক্ষমতার পালাবদলের পরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ-কে টার্গেট করে দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে নানা ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, মানহানিকর, ফরমায়েশি ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ব্যতিরেকে, অনুসন্ধান না করেই হাছান মাহমুদ অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মতামত না নিয়েই এসব সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। যা সাংবাদিকতার নীতি--নৈতিকতার পরিপন্থী। দেখা যাচ্ছে প্রকাশিত প্রতিটি সংবাদই অন্য কোন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের হুবুহু কপি-পেস্ট এবং কোলাজ।
উচ্চ শিক্ষিত, সজ্জন ড.হাছান মাহমুদ একাধারে পরিবেশবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও বটে।রাজনীতিতে সজ্জন ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির চর্চাকারী হিসেবে তিনি সমাদৃত। মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির শীর্ষ স্থানীয় এ ব্যক্তির প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই মিথ্যা ও মনগড়া নিউজ প্রকাশ করে মানহানি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের এফএমসি ডকইয়ার্ড এর চেয়ারম্যান ইয়াছিন চৌধুরী একজন স্বীকৃত ঋণখেলাপী ও প্রতারক এবং ঠকবাজ। দুই ডজন ঋণখেলাপী এবং প্রতারণা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে যে বহু বছর ধরে পলাতক। দেশের বাইরে থেকে সে ড.হাছান মাহমুদ এর নামে জাতীয় ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাচার করাচ্ছেন। ইয়াছিন চৌধুরী, হাছান মাহমুদ এর পারিবারিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিছমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস এর জন্য ফিশিং ট্রলার ও কার্গো জাহাজ নির্মাণ করার জন্য চুক্তি করে। ( সে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ “বিছমিল্লাহ মেহরীন সার্ভিচেছ” নামক একটি প্রতিষ্টানের এম ডি-র সই জাল করে ন্যাশনাল ব্যংক ও রুপালী ব্যংক থেকে তৎকালীন ব্যংক কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজজে একটি কনটেইনার জাহাজ ও একটি ফিশিং ট্রলার নীর্মাানের নামে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন কবে নেয়। যার দায়ভার এখনো বিছমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস-কে বহন করতে হচ্ছে। এরকম আরো বহু প্রতিষ্টানের সাথে প্রতারনা করেছে।
৫ আগস্টের পরে ইয়াছিন চৌধুরী যখন এসব বিষয় নিয়ে কতিপয় পত্রিকার সাথে যোগসাজশ করে হাছান মাহমুদ এর নামে অপপ্রচার করছিল তখনই হাছান মাহমুদ এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্য তুলে ধরে এর প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু দুঃখজনকভাবে বেশিরভাগ পত্রিকা ড. হাছান মাহমুদ এর উক্ত প্রতিবাদলিপি ছাপেনি।
হাছান মাহমুদ তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে চ্যালেঞ্জ করেই বলেছেন দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও তিনি অবৈধভাবে অর্জন/ দখল করেননি । তার নির্বাচনী হলফনামা এবং ট্যাক্স ফাইলেই সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্লেষণ উল্লেখ আছে। শ্বশুরবাড়ির জায়গায় ডেভেলপার কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনকে কিংবা পারিবারিক/উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সহায়-সম্পত্তিকে হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি উল্লেখ করে যখন ধারাবাহিক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয় তখনই এটি প্রতীয়মাণ হয় যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এগুলো করা হচ্ছে।
এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে দুবাই -সারজায় ড় হাছান মাহমুদের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা থাকার আজগুবি মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। অথচ চিনি দের্থগীন ভাবে বলেছেন সেখানে তার ২০ টাকার ব্যবসাও নাই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে তিনি যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নিবেন। আমরা সত্যিই আশ্চর্য কিভাবে সংবাদ মাধ্যম এরকম নির্লজ্জ মিথ্যচার করতে পারে!
প্রকৃতপক্ষে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ যখনই তার বিরুদ্ধে কোন মানহানিকর এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছেন কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য অনেক পত্রিকা ছাপালেও বেশিরভাগ পত্রিকা প্রতিবাদলিপি গুলো প্রকাশ করেনি। যেখানে সংবাদমাধ্যম গুলোর নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে কোন ব্যক্তি বিশেষ যদি তার বিরুদ্ধের কোন নিউজের ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়ে প্রতিবাদ জানান তা প্রকাশ করা।
সেখানে দেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম হাছান মাহমুদ এর উক্ত প্রতিবাদলিপি গুলো না ছাপানো/প্রকাশ না করা তাদের(গণমাধ্যমের) স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এভাবে হাছান মাহমুদ এর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ধারাবাহিক মিথ্যাচার, মানহানিকর অপতথ্য সংবলিত সংবাদ প্রচার হতে থাকলে আমরা প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha