কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপ টিপু সুলতান ও রব্বানী গ্রুপের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে উভয় গ্রুপে কমপক্ষে নয় জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিরপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান গ্রুপের সঙ্গে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খন্দকার টিপু সুলতান গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে নয় জন আহত হন।
আহতদের মধ্যেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান (৫৫), আব্দুস সালাম (৪৫) ও চঞ্চলকে (৩০) জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী (৪৯), মোহাম্মদ আলী জিহাদ (২৭), সুমন (৩৫) ও আলতাফ হোসেন (৪৫)।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, সোমবার মনি নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে সারের বৈধ চালান দেখতে চান সাবেক এমপি সমর্থিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান। চালানোর বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারার অভিযোগ তুলে ট্রাক আটকে রেখে উপজেলা কৃষি অফিসারকে খবর দেন তিনি। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকরা মনির পক্ষ নিয়ে ট্রাক থেকে জোর করে সার নামিয়ে নেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
এরপরই রব্বানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওই স্যার ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা রব্বান। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে রব্বানের ভাই জাহেদ আলীর সঙ্গে সার ব্যবসায়ীর ছেলে আসিফের বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকার আসিফের পক্ষ নিয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলীর বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপি নেতা রব্বানের লোকজন আসিফকে মারধর করে। এ ঘটনার কিছু পর টিপু খুনকারের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রব্বান গুরুতর আহত হন।
উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী বলেন, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, তার দুই ভাই ও ভগ্নিপতি আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি মিরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী বলেন, আমার বড় ভাই ভাগ্নিসহ আমাদের সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তৌছিফুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মনে হচ্ছে, তারা শঙ্কামুক্ত।
মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫-৬ জন জন আহত হয়েছেন।