আজকের তারিখ : মে ১২, ২০২৫, ৬:৫৯ পি.এম || প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ২:০৯ পি.এম
তানোরে অনিয়মে অপুষ্ট পারিবারিক পুষ্টি বাগান !

রাজশাহীর তানোরে পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান,
এসবের মধ্যে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত বীজসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সময়মতো বিতরণ না করা, তদারকির অভাব এবং আর্থিক অনিয়ম অন্যতম। এসব কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। তানোরে স্থাপিত পারিবারিক পুষ্টি বাগানগুলোর বেশির ভাগই শাক সবজিবিহীন খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও এগুলো সারা বছরই শাকসবজিতে ভরে থাকার কথা।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন অব্যবহৃত না থাকে। তার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারা দেশে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পটি গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় তানোর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫১০টি বাগান স্থাপন করা হয়। এসব বাগান স্থাপনের আগে কৃষক-কৃষানিদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা। এছাড়া প্রতিটি বাগান স্থাপনে বীজসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা বলে কৃষকেরা জানান। তবে কৃষি বিভাগ বরাদ্দের পরিমাণ, উপকরণের পরিমাণ ও কৃষক-কৃষাণীর নামের তালিকার তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে উপজেলা কৃষি বিভাগ এবিষয়ে তেমন নজরদারি করছে না।অধিকাংশক্ষেত্রে এগুলো নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বাগান প্রদর্শনী, রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃস্থাপনে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হলেও তা করা হয়নি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত ৫১০টি পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান প্রদর্শনী, রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃস্থাপনের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনী রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃস্থাপনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। কৃষকেরা জানান, অধিকাংশ বাগানে এখন নেই কোনো শাকসবজি। বর্তমানে এসব বাগান অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। অনেকগুলোর অস্তিত্বই নেই। এগুলোর বেড়া, সাইনবোর্ড ভেঙে পড়ে রয়েছে। আগাছা বা বিভিন্ন গাছগাছড়ায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানগুলো।
সম্প্রতি উপজেলার বাধাইড়,পাঁচন্দর ও কলমা ইউনিয়নের ( ইউপি)বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে পুষ্টি বাগানগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অধিকাংশ পুষ্টি বাগান খালি পড়ে রয়েছে। শুধু বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। সরেজমিন তদন্ত করা হলেই এসব অভিযোগের সত্যতা মিলবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক-কৃষাণী বলেন, বরাদ্দের অর্ধেকও তারা পায় না। এমনকি প্রশিক্ষণে খাবার ও নাস্তা পরিমাণে কম দিয়ে টাকা মেরে দেয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়মানুযায়ী সকল কাজ করা হয়েছে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha