কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশের খাম খেয়ালীপনার কারণে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিরাপরাধ হাফিজুল ইসলাম নামের এক দিন মজুরকে।
সে ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় (বিশ্বাসপাড়া) গ্রামের নাজিম উদ্দীন’র পুত্র। এই মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হাফিজুল ইসলাম একটি লিখিত আবেদন পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছে।
তার লিখিত আবেদন থেকে জানাযায়, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। যাহার নং এফ.আই.আর নং-৪, তাং-১৩/১০/২০১৮। সে উক্ত মামলা থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। এরপর হঠাৎ একদিন পুলিশ তার বাড়ীতে তাকে গ্রেফতার করতে যায়। তখন হাফিজুলকে না পেয়ে পুলিশ তার পরিবারকে জানায় সে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার মামলা নং-২১, তাং-২৪/০২/২০২১ ইং ধারা ১৭০/৪০৬/৫০৬(২)/৩৪ এর আসামী। কিন্তু হাফিজুল কোনদিন মানিকগঞ্জে যাননি।
সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মানিকগঞ্জ কোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। কোর্টে মামলার বাদী মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার গোলাপনগর গ্রামের মোঃ হামেদ প্রধানের পুত্র মসলেম প্রধান ও মামলার অন্যান্য আসামী মহামান্য বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি দেন যে, এই হাফিজুল মামলার এজাহার ভুক্ত প্রকৃত আসামী হাফিজুর রহমান সুজন।
হাফিজুল তার আইনজীবির মাধ্যমে জানতে পারেন তার নামের সাথে প্রকৃত আসামীর নামের সাথে তার নামের আংশিক মিল থাকায় তার নামে চার্জসীট পাঠায় পুলিশ। কিন্তু পিতার নাম ও ঠিকানায়ও গড়মিল রয়েছে এজাহারে। পুলিশের জব্দ তালিকায় প্রকৃত আসামী মোঃ হাফিজুর রহমান সুজন, পিতাঃ নজীর উদ্দীন মালিথা, সাং-নওদাপাড়া, ভেড়ামারা পৌরসভা, থানাঃ ভেড়ামারা, জেলা কুষ্টিয়া রয়েছে।
পুলিশ কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই প্রকৃত আসামী হাফিজুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার না করে দিন মজুর নিরাপরাধ হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর মহামারী করনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় উক্ত মামলার পরবর্তী কোন আদেশ হয়নি।
উক্ত মামলা নিষ্পত্তি না হতেই ২৩/০৫/২০২১ ইং তারিখে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেফতার করে, গ্রেফতার কারণ জানতে চাইলে, তাকে জাননো হয় সে মানিকগঞ্জ সদর থানার এফ.আই.আর নং-৫/২২৪, তারিখ ০৩/০৩/২০২০ ইং, ধারা ৩৪১/১৭০/৪২০/৩৪ দন্ড বিধি মামলার আসামী। এরপর সে ২৭/০৫/২০২১ ইং তারিখে কুষ্টিয়া কোর্ট থেকে জামিন লাভ করে এবং গত ০৩/০৬/২০২১ ইং তারিখে মানিকগঞ্জ কোর্ট থেকে সে পুনরায় জামিন প্রাপ্ত হয় এবং হাফিজুল ইসলাম জানতে পারে, পূর্ব মামলার সূত্র ধরে এই মামলা হয়েছে এবং ভেড়ামারা থানা পুলিশ সুষ্টু তদন্ত না করেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছুিেটতে থাকাই এবং তার মোবাইল নন্বর বন্ধু থাকার কারণে তার বক্তব্য নিতে পারি নাই।
ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম লেখিত প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করেছেন।মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় (বিশ্বাসপাড়া) গ্রামের নাজিম উদ্দীন’র পুত্র হাফিজুল ইসলাম একজন ভালো ও দিনমজুর।সে কোন অনৈতিক কাজের সাথে জরিতো না। সে নিরাপরাধী সাদা মনের মানুষ বলে এলাকার নারী-পূরুষ হাফিজুল ইসলামের পক্ষে গণ পিটিশন দিয়েছে।
হাফিজুল মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত মুলব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।