হত্যার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি লাশের মাথা, পা ও বাকি অংশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা ও লাশ গুমের একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালুকান্দি গ্রামের মহম্মদপুর-মাগুরার প্রধান সড়কের পাশের পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে ওই যুবকের মাথা ও একটি পা বিহীন খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, লাশের বাকি অংশ হত্যাকারীরা অন্য কোথাও ফেলে দিয়েছে।
নিহত আজিজুর রহমান মাগুরার সদর উপজেলার সংকোচখালি গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যান ছিলেন। তবে তিনি মহম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামে নানা আবুল কাশেমের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। ওই যুবক ২০১৬ সালের মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামে মাসরেক উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেন। সর্বশেষ তিনি ওই গ্রামেই একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। পরনে থাকা পোশাক দেখে তার মৃতদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
নিহত আজিজুর রহমানের ভাই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যার চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি এবং উদ্ধার হয়নি লাশের বাকি অংশ। আমি আমার ভাইয়ের মাথা ও লাশের বাকি অংশ চাই।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় হত্যা ও লাশ গুমের একটি মামলা করেছেন। হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং লাশের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট