নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে আজাদ ও মোফাজ্জেল শেখ হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের নামে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পেড়লী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনও করেন ভুক্তভোগীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কালিয়া উপজেলা কমিটির সদস্য শেখ আলতাফ হোসেন আনসারী, জেলা যুবদলের যুগ্মসম্পাদক শহিদুল ইসলাম মোল্যা, সাবেক ছাত্রনেতা নেছার আহমেদ ও পেড়লী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হামিদুল শেখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন-কালিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা রহমত হোসেন, জামির হোসেন মোল্যা, জহিরুল ইসলাম, ইসরাফিল জোয়াদ্দার, বায়েজীদ আহমেদ, ইয়ামিন শেখ, আতিয়ার রহমান, কৃষকদল নেতা আলমগীর মোল্যাসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ২০১৭ সালের ২৫ মে পেড়লী গ্রামে সংঘটিত সংঘর্ষে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জেল শেখ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল শেখ খুন হন। মোফাজ্জেল হত্যাকান্ডে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতা শহিদুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই পেড়লীর মহসিন মোড়ে যুবলীগ নেতা আজাদ শেখকে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা। এ হত্যাকান্ডের জের ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ আলতাফ হোসেন আনসারী, শহিদুল ইসলাম মোল্যাসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ধান, পাট, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও মাছের ঘের লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয়। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদিন আগেও (৪ আগস্ট) শহিদুল মোল্যা ও শেখ আলতাফ আনসারীসহ ১১ জনের নামে মামলা করেন প্রতিপক্ষরা। এখনো বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার পরিকল্পনাসহ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ অপতৎপরতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন পেড়লী গ্রামের ভুক্তভোগীরা।