ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সিএইচসিপিসহ ওই দপ্তরের প্রায় ৩০ জন কর্মচারী। অভিযোগটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, দেলোয়ার হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার থেকে সিনিয়র ইন্সপেক্টরকে বাদ রেখে তিনি নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। তিনি অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌন নিপিড়ন করেন। তার ভয়ে কেউ অফিসে আসতে পারেনা।
অভিযোগকারীরা বলেন, এর আগে দেলোয়ার হোসেন এক স্বাস্থ্য সহকারীকে কু প্রস্তাব প্রস্তাব দেন। অভিযোগকারীরা বলেন, তিনি ট্রেনিংয়ের অর্ধেক টাকা নিয়ে থাকেন সবার কাছ থেকে। সেই সাথে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও স্যাটেলাইট ক্লিনিকে দেওয়া বিভিন্ন আসবাব পত্র, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী সেই সমস্ত কেন্দ্রে না দিয়ে তিনি আত্মসাত করেন।
এ বছরে কৃমি সপ্তাহ শুরু হলে দেলোয়ার হোসেনের দায়িত্ব ছিল প্রচার মাইক বের করার। ব্যপক প্রচারের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে ৬ হাজার টাকা করে বাজেট করা হয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মাইক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সারা উপজেলা একদিনে মাত্র একটি মাইক দিয়ে কাজ সেরেছেন। এই কাজে তিনি ১ লাখ ২ হাজার টাকা তুরেল নেন। একই ভাবে তিনি আত্মসাত করেছেন চলতি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচারের টাকা। তার নামে অভিযোগ রয়েছে তিনি ফিটনেস সার্টিফিকেট বিক্রি করেন কোন পরীক্ষা ছাড়ায়।
এই বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কাজ বুঝে নিতে চাই বলে অফিসের সবাই আমার উপর ক্ষেপে আছেন। যার কারণে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঃ রশিদকে প্র্রধান করে গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha