গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান প্রবেশদ্বারের সড়কটিতে। পিজ-পাথর উঠে গিয়ে বড়বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, রাস্তার দুই পাশের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিশেষ করে হাটের দিনে সাধারন মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা ও বাজার ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের আর সীমা থাকেনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় শহরের প্রবেশদ্বারের এই সড়কটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারন মানুষ ও বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শনিবার সকালে সড়ক ও জনপদের এই রাস্তাটি আধলা ফেলে সস্কারে হিতে বিপরীত হওয়ায় পথচারীদের দুর্ভোগ আগের তুলোনায় অনেক বেড়ে গেছে। বড়বড় গর্তের মধ্যে পানির নিচেই আধলা দিয়ে ভর্তি করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। নৈমিত্তিক কাজে শহরগামী অনেককেই এখানে এসে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে কাঁদা-জলে ভিয়ে আহত হয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। কয়েক বছর যাবৎ রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থা হলেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শহরের প্রধন প্রবেশদ্বার দিয়ে মহম্মদপুর থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকার সাথে এই সড়কটি সংযুক্ত হয়েছে। এ সড়কের পাশে রয়েছে অফিসপাড়া খ্যাঁত উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন, কারিগরি কলেজ, এসআর দাখিল মাদ্রাসা, এতিম খানা ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের প্রবেশদ্বারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এই রাস্তাটি। ফলে দুরাগত পণ্য এবং যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে এবং সাধারন মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্ত দিনের। তাই দুর্ভোগ পোহাতে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে খানাখন্দে পানি জমে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও তা নিষ্কাশনে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই গালমন্দ করে থাকেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এই পরিস্থিতি উত্তোরণে কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করলে রাস্তাটির সংস্কার বা ড্রেনেজ ব্যবস্থ্যার উদ্যোগ নেয়নি তারা। প্রতিবাদ বা ক্ষোভ প্রকাশে সবার মধ্যে বিরাজমান থাকলে রাস্তাটির নির্মাণ কাজে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
সড়ক সংলগ্ন শহরের মুদি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, সড়কটি গাড়ি চলাচলের সময় আমার দোকানের আমার দোকানের মধ্যে পানি প্রবেশ করে। পাশেই অবস্থিত মহম্মদপুর প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার । সামনে আধলা ফেলে রাখায় দুরাবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে এখানে। ক্লিনিকের ম্যানেজার আবুল কালাম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি/সাধারন সম্পাদকে একাধিকবার অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।
মহম্মদপুর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিমুল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবসায়ীদের দুরবাস্থার কথা ভেবে আমি কয়েকবার ইউএনও এবং প্রকৌশলী সারের কাছে গিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা বলেছি। কিন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জনস্বার্থে শিঘ্রই ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। মাগুরা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম আতিক উল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে আধলা ফলে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্ত হিতে বিপরীত হচ্ছে তাই দ্রুত অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে রাস্তাটি পূন:নির্মাণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha