চাঁদাবাজি, থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের হয়। মামুন আলী ওরফে কিং আলী নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি নগরের উত্তর হালিশহরের হাজী আশরাফ আলীর ছেলে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করতে হালিশহর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহেনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, সাবেক সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট ঘটনাস্থল উত্তর হালিশহরের গলাচিপা বারুণীঘাটা এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জম্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে তিনিসহ অন্তত ৩০০ জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন। সেদিন আসামিদের নির্দেশে পুলিশ লাটিপেটা করে অনুষ্ঠানটি পণ্ড করে দেয়। অতিথির জন্য তৈরি করা খাবার তছনছ করে দেয়। এরপর বিএনপির ১৭ জন নেতাকর্মীকে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে (বাদী) থানায় উলঙ্গ করে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ।
এ সময় মামলার এক নম্বর আসামি শেখ হাসিনা ভিডিও কলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করে বাদীকে গালমন্দ করেন। তিনি (শেখ হাসিনা) এবং আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে বাদীসহ ১৭ জন নেতাকর্মীর ওপর শারিরীক অত্যাচার চালায় পুলিশ।