জেলা শিল্পকলা একাডেমি যশোরের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে একাডেমি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু। রিপোর্টে দেশে এবং বিদেশে জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ এর মধ্যে প্রয়াত বরেণ্য গুণীজন, সংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রিয় মুখ, কবি, লেখক, সাহিত্যিকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে তিনি একাডেমির আয় ব্যয়সহ নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন।
একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি সাজাদুর রহমান খান বিপ্লব, ফারাজী আহমেদ সাইদ বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপম দাস, চঞ্চল সরকার, কার্যকরী সদস্য, অ্যাড. বাসুদেব বিশ্বাস, শহিদুল হক বাদল, আতিকুজ্জামান রনি সভা মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদকের লিখিত রিপোর্টের উপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং নানা সংগতি অসঙ্গতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন একাডেমির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দৌলা, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাক হোসেন শিম্বা, আহসানুল্লাহ ময়না, জিল্লুর রহমান ভিটু, আনিসুজ্জামান পিন্টু, সাংবাদিক সাজ্জাদ গনি খাঁন রিমন, প্রণব দাস, স্বপ্না দেবনাথ, দীপক রায়, পান্না লাল দে, দীপংকর দাস রতন, কামরুল হাসান রিপন প্রমুখ। সভায় সাধারণ সদস্যরা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত কালচারাল অফিসারের আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান।
এছাড়া নানা বিষয়ে সংগতি অসংগতির বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু ও একাডেমির কালচারাল অফিসার ও পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হায়দার আলী সাধারণ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভা শেষে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার জানান পত্রিকায় প্রকাশিত আর্থিক অনিয়মের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তিনি জানান, আগামী সাধারণ সভা আরো স্বচ্ছ এবং সুন্দর হবে।