রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার এক আনসার সদস্যের জমি ক্রয় কেরামতির ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে এক কৃষক পরিবার। তার কেরামতির ফাঁদে পরে নাজেহাল গ্রাম্য মাতবর,স্কুল শিক্ষক,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ অনেকে। কখন সে কি করে,তা নিয়ে সবাই চমকিত।
২৭-১০-২০০৫ সালে সে মা রোকেয়া বেগমের নামে চাঁদমৃগী মৌজার ৫.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে পবনপাঁচবাড়ীয়া গ্রামের মজিবর রহমানের কাছ থেকে। ক্রয়কৃত জমির দাগ নং বিএস ৪৮২। যার চৌহদ্দি পূর্বে ওকিল,পশ্চিমে কুদ্দুস,উত্তরে আতিকুল ও দক্ষিনে খাল। ক্রয়ের পরদিন সে জমিটির দখল বুঝে নিয়ে বাড়ী তৈরি করে।
এরপর পাংশা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে রেজিষ্ট্রশন কাজ সম্পন্ন করে। এ কাজে অসম্ভব এক কেরামতি দেখান কবির। তিনি দলিলে চৌহদ্দি ঠিকঠাক লিখলেও জমির দাগ নং পাল্টে ৪৮২ স্থলে ৮৪৮ লিখে নেন। উভয় জমির মালিক ও পরিমান সমান হওয়ায় বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। এভাবেই বসবাস করে আসছিলো আনসার সদস্য কবির হোসেন।
২০২০ সালে বিষয়টি জানাজানি হলে আনসার সদস্য কবিরকে ভুল সংশোধনের প্রস্তাব দেয় মজিবর শেখ। কিন্তু কোন প্রস্তাবে সে রাজী হয় না। অবশেষে গ্রাম্য শালিস ডাকা হয়। কিন্তু তাতেও সে উপস্থিত হয় না। নিরুপায় হয়ে মজিবর শেখ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে বিচার চেয়ে আবেদন করেন।
এতেও উপস্থিত হয়না আনসার সদস্য কবির। নিরুপায় হয়ে মজিবর ৩ মাস আগে চাঁদমৃগী মৌজার ৮৪৮ নং বসতবাড়ী স্থাপন করে। এবার নড়ে চড়ে বসছে কবির। সে ওই জমিতে ফিরে যাবার ঘোষনা দিয়েছে। শুরু করেছে শুরু করেছে ১৯ বছরের বসতবাড়ী ভাঙ্গার কাজ।
শনিবার সকালে বাড়ী ভাঙ্গার কাজ চলাকালে কবিরের সাথে দেখা হয়। সে জানায়, এখানে ভালো লাগছে না। তাই দূরে চলে যাবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।