গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি প্রণোদন একই কৃষক যেন বার বার না পায় এবং একই পরিবারে একাধিক কৃষক যেন না পায় সেজন্য কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনার তালিকা তৈরী করে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করে আসছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এদিকে একই কৃষক বার বার কৃষি প্রণোদনা না পাওয়ায় এবং একটি কুচক্র মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কৃষি প্রণোদনা বিতরণের গুজব ছড়িয়ে বেরাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায়, ১ হাজার ২শ কৃষককে দেওয়া হয়েছে মাসকলাই বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ১০ ও এমওপি সার ৫ কেজি। ৫ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ ৫ কেজি। ৬ হাজার ১শ কৃষককে দেওয়া হয়েছে বোরো উফসী ধানের বীজ ৫ কেজি করে, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি। ৩ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ২০ কেজি গম বীজ, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি, ৯০০ কৃষক দেওয়া হয়েছে ২ কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, ৬ হাজার ৯৫০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে সরিষা বীজ ১ কেজি, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, ১৫০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১ কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, ১১০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ৫ কেজি মুগ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি এমওপি সার, ১৫০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ৫ কেজি মসুর বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি এমওপি সার, ২০০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ৮ কেজি খেসারী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি এমওপি সার, ৪০০ শ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ ও রাসায়নিক সার এবং ৩৯ জন আম চাষীকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনে দেওয়া হয়েছে আমের চারা, রাসায়নিক সার, ফুট্র ব্যাগ, আম বহনের জন্য প্লাস্টিক ক্যারেট ও সেচ বাবদ টাকা। উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৯৯ জন কৃষককে তুলে দেওয়া হয়েছে কৃষি প্রণোদনা।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, কৃষি প্রণোদনা সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষি কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি বান্ধব সরকারের কারণেই উপজেলায় অনেক প্রণোদনা পাচ্ছেন কৃষকরা।
সঠিক সময়ে ও সুন্দর ভাবে প্রণোদনা উপকরণ কৃষকরা পাচ্ছে বলেই গোমস্তাপুর উপজেলায় সরিষা, গম, ভুট্টা, মাসকালাইসহ পেঁয়াজের মত আবাদ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ধানের নতুন ও বর্তমান জলবায়ু উপযোগী জাত সম্প্রসারণের কারণে ধানের গড় ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রত্যেক কৃষককে প্রণোদনা দেওয়ার আগে তাদের নিজ নিজ ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে তাদের স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ফরমে স্বাক্ষর করেই কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা নিয়ে গিয়ে হাতে গনা কয়েকজন কৃষক তা বাইরে বিক্রি করে থাকতে পারে এ বিষয়েও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খোঁজ খবর নিচ্ছে যদি কোন কৃষক এমনটা করে থাকে তবে সেই কৃষক আগামীতে কৃষি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবে। কোন অবস্থাতেই কৃষি প্রণোদনা বিতরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অনিয়মের সুযোগ নেই। সকল কৃষি প্রণোদনা সুষ্ট ও সুন্দর ভাবেই বিতরণ হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা বিতরণ নিয়ে একটি চক্র সরকারকে বেকাদায় ফেলার জন্য গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবেই বিতরণ হয়েছে এবং এতে প্রান্তিক কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা বিতরণ নিয়ে কোন অনিয়মের খবর এখনও পাইনি এমনকি আমার দপ্তরে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এখন বাইরে কেউ কিছু বলে বেড়ালে তা গুজব বৈ কিছু না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার জানান, কৃষি প্রণোদনা বিতরণ নিয়ে জেলায় কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি। প্রান্তিক কৃষকদের মাঝেই কৃষি প্রণোদনা বিতরণ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রণোদনা বিতরণে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত জেলায় কোন অনিয়মের অভিযোগ আমার দপ্তরে আসেনি।
তবে তিনি আরো জানান, কোন গুজবে কর্ণপাত না করে কৃষকদের সজাগ থাকতে হবে এবং কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা ব্যবহারে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha