আজকের তারিখ : জুলাই ১৫, ২০২৫, ৮:২৭ পি.এম || প্রকাশকাল : জুন ২৭, ২০২৪, ২:১৯ পি.এম
কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা !

রাজশাহীর তানোরে ক্রয় রশিদ বিহীন চোরাপথে আশা মানহীন নন ইউরিয়া সারে বাজার সয়লাবের অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা করছে কৃষকেরা। একশ্রেণীর কীটনাশক ব্যবসায়ী চোরাপথে সার এনে অবৈধ মজুদ ও বেশী দামে বিক্রি করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালন্দ, কালীগঞ্জহাট, মাদারীপুর, বিল্লী, দরগাডাঙা, চৌবাড়ীয়াহাট, কোয়েলহাট, ইলামদহী, কৃষ্ণপুর, মুন্ডুমালা, সরনজাই, চাঁন্দুড়িয়া, জুমারপাড়া, আজিজপুর, কামারগাঁ ও রাবিয়ার মোড়ে একশ্রেণীর কীটনাশক ব্যবসায়ী নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট, দেলুয়াবাড়ী ও চৌবাড়িয়া থেকে এবং মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট, আত্রাই, গোছা ও ধুরইলহাট থেকে চোরাপথে রশিদ বিহীন সার কিনে অবৈধভাবে মজুদ ও কৃষকের কাছে বেশী দামে বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ সাবাই ও কেশরহাট নকল কীটনাশক ও সারের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত। এদিকে চোরাপথে আশা এসব সার আসল-নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই সিংহভাগ কৃষকের।
আর কৃষকের সরলতার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের পকেট কাটছে এসব ব্যবসায়ীরা বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে রশিদবিহীন এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলে ব্যবসায়ীরা দায় নিচ্ছে না অস্বীকার করছে, ক্রয় রশিদ না থাকায় তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
বিষয়টি স্থানীয় কৃষি বিভাগকে জানানো হলেও তারা রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। ফলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে কৃষকেরা বাধ্য হয়ে বেশী দামে এসব সার কিনছেন। তবে বেশী দামে সার কিনলেও তাদের কোনো ক্রয় রশিদ দেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ কৃষিবান্ধব সরকার। অথচ তানোর কৃষি বিভাগ কি বিবেচনায় সারের চাহিদাপত্র দেন। যে উপজেলায় সব সময় সারের সংকট থাকে, সংকট না থাকলে বাইরে থেকে সার আসছে কেন ? তবে কৃষকদের ভাষ্য, বাইরে থেকে সার আসলে সমস্যা নাই, কিন্ত্ত অবশ্যই বৈধ ক্রয় রশিদ থাকতে হবে, যাতে সার কিনে প্রতারিত হলে কৃষকেরা ক্ষতিপুরুণ চাইতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মহাদেবপুর মোড়ে দুই ভুটভুটি সার (২০০ বস্তা) ডিএপি সার গাড়ি দাঁড় করিয়ে কৃষকেরা জানতে চাই সার কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাবে।
ভুটভুটি চালক জানান, মান্দার সাবাই হাটের সুনিল পান্ডের দোকান থেকে আসছে, তানোরের পাঁচন্দর ইউপির রাবিয়ার মোড়ের কীটনাশক ব্যবসায়ী মোজাহারুল ইসলামের দোকানে যাবে। তবে সারের কোনো ক্রয় রশিদ ছিলো না, সারের রঙ দেখেও ভালো মনে হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সারের মালিক পরিচয় দিয়ে মোজাহারুল বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনা আছে বাইরে থেকে সার আনা যাবে। তিনি বলেন, তানোরে সার না পেলে কি কৃষকেরা আবাদ করবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনিল পান্ডের দোকানের লোক বাহির এলাকায় সার বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মান্দা থেকে সার পাচারের বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha