স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে নন্দলালপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের কলা ব্যবসায়ী ছেলে আমিনের সঙ্গে বিনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য বিনাকে মারধর করতে থাকেন বলে অভিযোগ ওঠে। মারধর সইতে না পেরে বিয়ের পর প্রায় এক বছর বাবার বাড়িতে থাকেন বিনা। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসও হয়েছে। একপর্যায়ে এক ছেলে সন্তানের (৭ মাস) জন্ম হলে ২৫ হাজার টাকা যৌতুকসহ সন্তানটিকে নিয়ে গত শুক্রবার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যান বিনা। এরপর আজ দুপুরে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিকেলে কুমারখালী থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার বারান্দায় একটি বেঞ্চে প্যাকেটে মোড়ানো একটি লাশ। থানার বাইরে স্বজনেরা আহাজারি করছেন। নিহত নারীর বাবা বিল্লাল শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও ননদ ১০ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেলের জন্য তার মেয়েকে নির্যাতন করতেন। তিনি গরিব মানুষ, টাকা দিতে পারেননি। মেয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় এক বছর তার বাড়িতেই ছিল। শুক্রবার ২৫ হাজার টাকা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। এরপরও শাশুড়ি ও ননদ মিলে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়েছেন। তিনি থানায় মামলা করবেন।
বিনার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিনশেড পাকা বাড়িতে সুনসান নীরবতা। দরজায় তালা ঝুলছে। দরজার পাশে ইটের দেয়াল একটুখানি ভাঙা। ঘরের ভেতরে ওড়নার কয়েক টুকরা কাটা অংশ পড়ে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, বেলা ১১টার দিকে গৃহবধূ বিনাকে বাড়ির বাইরে বসে কাঁদতে দেখেন। কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে বিনা বলেন, ‘শাশুড়ি-ননদ মারধর করেছে।’ আরেক নারী জানান, দুপুরে ভ্যানে করে বিনাকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান শাশুড়ি ও ননদ। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha