আজকের তারিখ : মে ১৩, ২০২৫, ৯:০৬ পি.এম || প্রকাশকাল : মার্চ ৩১, ২০২৪, ১২:৫৫ পি.এম
তানোর মহিলা কলেজ নারী শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রাখছে

রাজশাহীর তানোরে গ্রামীণ জনপদের অধিবাসিদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের (মেয়ে) বিশেষ করে নারী শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজ। গ্রামীণ পরিবেশেও শহরের মতো আধূনিক পাঠদান দেয়া হচ্ছে। অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশ, নেই কোনো হৈহুল্লোড়, নেই কোনো কোলাহল একদম নিরব-নিস্তব্ধ।
তানোর উপজেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দুরে তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার চাপড়া বাজারে অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির।
গ্রামীণ পরিবেশ তবে শহরের মতো আধূনিক মানসম্মত পাঠদানের কোনো কমতি নেই। শহরের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের যেসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ থাকে সেই সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ হয়তো বা এখানে নাই। তবে পাঠদানের ক্ষেত্রে তাদের থেকে তারা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। এখানে তার যেনো পুরোটাই রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একদল দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যারা বিষয় ভিত্তিক মানসম্মত আধূনিক পাঠদানের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন।
অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষের আন্তরিক প্রচেস্টা, পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহায়তায় কলেজের সেই সম্ভবনা তৈরী হয়েছে। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেস্টায় সম্ভব হচ্ছে শতভাগ উপস্থিতিতে টেকশই পাঠদান মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পর্যায়ে স্বপ্ন বিনির্মাণ। উন্নত ও বাস্তব সম্মত শিক্ষার জন্য চলছে, প্রশিক্ষণ ও বিশ্লেষণ।
জানা গেছে,তানোর মহিলা কলেজের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের মেয়েদের ঘরের পাশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। শহর বা গ্রাম বলে কোনো কথা নয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো স্থানে সুন্দর পরিবেশে সৃষ্টি ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায় তানোর মহিলা কলেজ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে। কলেজের অবকাঠামো, শিক্ষাপোকরণ, জনবল, শিক্ষার্থী ও পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল ধরে রেখেছেন।
এছাড়াও কলেজ হোস্টেল নিঃখরচায় থেকে লেখা পড়া করছেন ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী। এসব বিবেচনায় কলেজটি দ্রুত সরকারী করণের দাবি করেছেন উপজেলাবাসী। আওয়ামী লীগ শিক্ষাবান্ধব সরকার, তাই এই জনপদের মানুষের দাবি কলেজ সরকারী করণ করে, নারী শিক্ষা বিস্তারে আরো বেশী অবদান রাখার, সুযোগ করে দিবেন সরকার, বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দৃস্টি আকর্ষণ করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের একটা একাডেমিক ভবন প্রয়োজন, তাহলে তারা নারী শিক্ষা বিস্তারে আরো বেশী অবদান রাখতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha