আজকের তারিখ : মে ১৩, ২০২৫, ৪:১৮ এ.এম || প্রকাশকাল : মার্চ ১২, ২০২৪, ১০:৪৪ এ.এম
খোকসার মেয়ে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন চাচার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত

কুষ্টিয়ার খোকসার মেয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চাচার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন । ঢাকা বেইলি রোডে ২৯ ফেব্রুয়ারী আগুনে দগ্ধ সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ৮:২০মিনিটে খোকসায় তার নিজ গ্রাম বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া এসে পৌঁছায় এবং সোমবার রাত ৯:৪০ মিনিটে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে ।
বড় চাচার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন । অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন এর লাশ ১১ তারিখ রাত ৮:২০ মিনিটে নিজ গ্রামের বাড়ি বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া লাশ এসে পৌছালে এলাকায় এক হৃদয় বিধায়ক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ বিষয়ে পরিবারের দাবি মুসলমান ঘরের মেয়ে হয়েও একটু বাধা সৃষ্টির কারণে ১১ দিন পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আমরা তার লাশ পেয়েছি। তবে হিন্দু হয়ে মুসলিমের বাধা সৃষ্টিকারী এই ষড়যন্ত্রকারী কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল শাহ তার কারণেই এত বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি আমরা তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই ।
রাত ৮:২০মি. এ তার লাশ নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা, থানা অফিসার ইনচার্জ আননুর জায়েদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জমির, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা এর সাথে কথা বলা হয় তিনি জানান ২৯ তারিখে বেইরী রোডে অগ্নিকাণ্ডে খোকসায় মেয়ে বৃষ্টি খাতুন নিহত হয়েছিলেন তার লাশ নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর জটিলতা নিরসন হয়েছে, বৃষ্টি খাতুনের বাবা লাশ বুঝে পেয়েছে, আমরা এসেছি তার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি, তিনি পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান বৃষ্টি আমার বড় মেয়ে তার লাশ নিয়ে কিছু লোক মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আমি আমার মেয়ের লাশ ফিরে পেয়েছি এবং তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন করা হবে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষ ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি জানান।
বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বনগ্রাম গ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জমির এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি বৃষ্টি আমার ইউনিয়নের বনগ্রামের সবুজ শেখর মেয়ে। বৃষ্টি-মুসলিম পরিবারের মেয়ে সে আমার স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে, অবশেষে আমার কথায় সত্যি হলো, বৃষ্টির যথাযোগ্য মর্যাদায় তার চাচার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha