ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত ও একটি তেলের পাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় কাজী জাফউল্লাহর সমর্থক সুমন মাতব্বরে হাজী ইরফান উদ্দিন পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের মোখলেসুর রহমান সুমন মাতুব্বরের সাথে ( কাজী জাফরউল্লাহ সমর্থক) একই গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের ( এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থক) সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এই দুই দলের সাথে এর আগেও কয়েক দফা হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এর সূত্র ধরে আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের একটি জানাযায় সুমনের লোকজন উপস্থিত হয়।
এসময় ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের লোকজন সুমন মাতুব্বরের দলের নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের ছেলে রাজিব মাতুব্বর(২৬) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ,ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইট পাথর নিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের উপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন লোক আহত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মাতুব্বরের হাজী ইরফান উদ্দিন ফিলিং স্টেশন নামের ১টি পেট্রোল পাম্প, ৫টি মোটরসাইকেল, ২টি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এসময় হামলাকারীরা পেট্রোল পাম্প থেকে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। ঘটনা স্থল থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পেট্রোল পাম্পের মালিক মোকলেসুর রহমান সুমন জানান, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লার নৌকার নির্বাচন করেছি । আমাদের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী পক্ষে নির্বাচন করে। এ বিষয়ে তাদোর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমার সম্মান নষ্ট ও ক্ষতি করার জন্য আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। কয়েকজনকে মারধর করেছে। আমার পেট্রোল পাম্পটি ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পেট্রোল পাম্প থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ফারুক তালুকদারের লোকজন নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ফারুক তালুকদার জানান, সুমনের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমাদের লোকজন পেলেই সুমনের লোকজন মারধর করে। আজকে আমার একজন লোককে মারার কারণে মারামারি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এস,আই মনির হোসেন জানান, সংঘর্ষে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে । এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল-রশিদ জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।