আজকের তারিখ : জানুয়ারী ১৬, ২০২৫, ১০:৫৬ এ.এম || প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৪, ৭:০১ পি.এম
তানোরে আগুনে ভস্মীভূত কীটনাশক দোকান
রাজশাহীর তানোরে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে মোটরসাইকেলসহ কীটনাশকের দোকান। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) লালপুর বাজারে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আগুনের সুত্রপাত নিশ্চিত করা যায়নি।
তালন্দ ইউপির লালপুর বাজারের মেসার্স সাকিবা ও সরকার ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইউপি আওয়ামী লীগের সম্পাদক এবং সদস্য (মেম্বার) আবুল হাসান। ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবুল হাসানের ভাই ও লালপুর স্কুলের নৈশপ্রহরী মুতাহারুল হাকিম জানান, তিনি লালপুর স্কুলের নৈশ প্রহরী। ঘটনার দিন দিবাগত রাত দুই টার দিকে দোকানে তালা মারা দেখে গেছেন। শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে চা দোকানী সামায়ন ভারতী দোকানের সামনে মটরে পানি নিতে এসে আগুন দেখতে পেয়ে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে তার আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই। এদিকে আগুন নিয়ে সাধারণের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে দোকানের মালিক আবুল হাসান বলেন, এটা পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়া হয়েছে। তিনি এলাকায় নেই আর সেই রাতেই আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তার দোকানে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ছিল এবং গ্রাহকদের কাছে দোকানের বাঁকি ছিলো প্রায় ১৫ লাখ টাকা, যে খাতায় বাঁকি লিখা ছিল সেটিসহ নিজের ব্যবহৃত এপাসি আরটিআর মোটরসাইকেল, টিভি মনিটর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এলাকায় গিয়ে তিনি থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ করবেন। এদিকে সাধারণ মানুষের ভাষ্য, শকট- সার্কিট বা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।
এদিকে পুর্ববিরোধের জের ধরে যদি কেউ আগুন দেয়, তাহলে রাত দু'টার পর দোকানের তালা ভেঙে আগুন দেবার মতো ঝুঁকি নেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। আবার যদি কোনো দুর্বৃত্ত আগুন দেয় তাহলে তালা খোলার পর দোকানের মোটরসাইকেল ও মালামাল হাতিয়ে নেয়ার কথা, সেটাও হয়নি। এসব বিবেচনা করা হলে আগুনের সুত্রপাত শকট-সার্কিট বা কয়েল থেকে হবার সম্ভবনা উড়িয়ে নেওয়া যায় না।এছাড়াও দোকানের তালা খুলে দোকানে আগুন দেয়া নিয়ে সাধারণের মাঝে কানাকানি হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, সবার বক্তব্য শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে যারাই জড়িত থাক তদন্তে বের করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha