কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমবাগান থেকে মো. হযরত (৩৩) নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামস্থ সাধু টুটুল ভেরোর আমবাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রবাস ফেরত মো. হযরত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। প্রায় মাসখানেক আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন।
তবে নিহতদের স্বজনদের ভাষ্য, হযরতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমবাগানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লাহিনীপাড়ায় একটি মেহগুনি বাগানে সাধু টটুল ভেরোর সাধুসঙ্গের আস্তানা রয়েছে। আস্তানার পিছনের আমবাগানে একটি গাছের সাথে গলায় পরা মাফলারে সাথে ঝুলছে হযরতের মরদেহ। মরদেহের চারদিকে পুলিশ, স্বজন ও উৎসুক জনতার ভিড়।
এসময় হযরতের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ছেলে মাস খানেক আগে দেশে ফিরে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিলো। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলে আমার বাড়ি থাকেনা। তেমন যোগাযোগও ছিলোনা। সকালে খবর পেয়ে টুটুল সাধুর আমবাগানে লাশ পেয়েছি।
তার ভাষ্য, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
ভাই তুষার বলেন, আমার ভাইয়ের শালা নয়ন গত রোববার মুঠোফোনে ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো। আর আজ লাশ পেয়েছি। ভাই আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সু্ষ্ঠু বিচার চাই।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কন্যাদায় গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে মোছা. নিলা খাতুনের সাথে হযরতের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সৌদি আরব থাকতেন।
কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক মো. ইমদাদুল হক জানান, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫